স্বাস্থ্য

আদা খাওয়ার উপকারিতা আদার রস খেলে কি হয়?

আসসালামুয়ালাইকুম সম্মানিত সাইট ভিজিটর ভাই ও বোনেরা আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।  আদার রস  খাওয়ার নিয়ম  উপকারিতা আদা রস খাওয়ার 12 টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আদার রস খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত  দেখলে বুঝতে পারবেন।

নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না! আপনার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাবেন এই আদার মাধ্যমে।ঘ্রাণ বা রান্নার স্বাদের উপকরণ হিসেবে আদার বিকল্প নেই। কেননা আদা খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে মুক্তি দিতে পারে কঠিন কিছু রোগ থেকে।

প্রথমেই জানবো আমরা ১০০ গ্রাম আদার উপাদান

১০০ গ্রাম আদায় আছে ৮০ ক্যালরি শক্তি, স্নেহ পদার্থ ০.৮ গ্রাম, সমৃক্ত চর্বি ০.২ গ্রাম, পলি স্যাচুরেটেড চর্বি ০.২ গ্রাম, মনো আনস্যাচুরেটেড চবি, সোডিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৮ গ্রাম, আঁশ ২ গ্রাম, সুগার ১.৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ভিটামিন সি ৮%, ভিটমিন বি ৬.১০%, ক্যালসিয়াম ১%, আয়রন ৩%, ম্যাগনেসিয়াম ১০%, এছাড়া আদায় কোনো কোলেস্টেরল নেই।

আদা খাওয়ার উপকারিতা আদার রস খেলে কি হয়

আদার রস একটু গরম করে সমপরিমান মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে ঠান্ডা লাগা সেরে যায়। অংশে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। আবার পেটের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এটা। তাছাড়া কিছু খাওয়ার পর পেট ব্যাথায় ভোগার সমস্যা হলে তার জন্যও আদার রস বিশেষ ভূমিকা রাখে।

আদার উপকারিতাঃ

১- হার্টের জন্য আদার কাজ:

রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতে এটা খুবই কার্যকরী।

২- রক্তের জন্য আদার কাজ:

পরিমিত আদার রস খাওয়ার জন্য শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়।

কেননা আদায় রয়েছে ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম। এসকল উপাদান রক্ত প্রবাহের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে।

৩- ফুসফুসের জন্য আদার কাজ:

ফুসফুসের সাধারণ যে কোন সংক্রমণ বা রোগের ক্ষেত্রে আদার বেশ কার্যকরী রয়েছে।

শ্বাস প্রশ্বাশের সাধারণ সমস্যা দূর করে আদায়। তাছাড়া এটা গলা এবং স্বর তন্ত্রী পরিষ্কার রাখে।

৪- জ্বরের জন্য আদার কাজ:

ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে আদার বিশেষ ভূমিকা রাখে। আদার রস একটু গরম করে সমপরিমান মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে জ্বর ও ভাইরাস জ্বর সেরে যায়।

৫- ঠান্ডার জন্য আদার কাজ:

ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে আদার ভূমিকা অপরিসীম। আদার রস একটু গরম করে সমপরিমান মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে ঠান্ডা লাগা সেরে যায়।

৬- পেটের জন্য আদার কাজ:

 পেটের পীড়ায় আদা একটি আদর্শ পথ্য। এটা হজমের পাশাপাশি খাবারের গুণাগুণ শরীরের বিভিন্ন

অংশে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। আবার পেটের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এটা।

তাছাড়া কিছু খাওয়ার পর পেট ব্যাথায় ভোগার সমস্যা হলে তার জন্যও আদার রস বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৭- ক্ষতের জন্য আদার কাজ:

আপনার শরীরে কোথাও ক্ষত থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে ।

এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, যা কাটাছেড়া ও ক্ষত সারাতে দ্রুত কাজ করে।

৮- মাইগ্রেনের জন্য আদার কাজ:

মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করে আদা।

গর্ভবতী মায়েদের সকাল বেলায়, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে শরীর খারাপ লাগে। এ সমস্যা দূর করে কাঁচাআদা।

৯- ডায়াবেটিসের জন্য আদার কাজ:  ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে কাঁচাআদা।

১০- বমিভাবের জন্য আদার কাজ:

যদি কখনো যানবাহনে চড়ার সময় কেউ কেউ অস্বস্তিতে ভোগেন বা অল্প সময় গাড়িতে থাকার পর বমি বমি ভাব হয়।

এই বমি বমি ভাব দূর করতে আদার ভূমিকা অনেক। বমি ভাব হলে কাচা আদা চিবিয়ে খেলে তাৎক্ষণিক উপকার করে।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার আদা মুখের স্বাদ বাড়াতে বেশ অনেক ভূমিকা রাখে।

১১- পিরিয়ডসের ব্যথার জন্য আদার কাজ:

 মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডসের সময়ে পেটে ব্যথা খুব চেনা বিষয়।

কিন্তু এ সময়ে আদা চা যে আপনার প্রদাহ কমাতে পাওে জানতেন কি? আদায় থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ আপনার পেট ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

আর গরম চা যখন আপনি খাচ্ছেন/খাবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই সেটা ব্যথার আরাম দিবে।

১২- ক্লান্তি দূর করার জন্য আদার কাজ:

আপনি যখন সারাদিন অফিসে বা কর্মে ব্যস্ত সময় পার করে বাসায় ফেরেন,

তখন আপনার মাথা শরীর এমনকি মন কিছুই সতেজ থাকে না। এসময় এককাপ আদা চা আপনাকে অনেকটাই ক্লান্তি মুক্তি করবে।

কেননা আদার যে সুগন্ধ তা আপনাকে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। এবং ধীরে ধীরে আবার আপনি একজন ক্লান্তি মুক্ত শরীরের অধিকারী হয়ে উঠবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *