আসসালামুয়ালাইকুম কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ার পুজো মণ্ডপে প্রকাশ্যে কুরআনে কারীমে মূর্তির পাশে রেখে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে। জানাসনি তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে সারা দেশজুড়ে এ বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট তথ্য জানা গেল তা থাকছে । এছাড়াও থাকছে কুরআন অবমাননা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মিজানুর রহমান আজহারী।
বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের একটি পূজামণ্ডপ থেকে কোরআন পাওয়ার পর বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক নির্মল পাল।
তিনি বলেন শহরের নানুয়ারদীঘি এলাকার একটি পূজামণ্ডপের প্রতিমায় কোরআন রাখার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ গিয়ে তা সরিয়ে নেয়। কিন্তু এর পর পরই একদল ব্যক্তি বেশ কিছু পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা চালায়।
জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তারা এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। “আমরা টহল দিচ্ছি। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। কয়টি মণ্ডপে হামলার চেষ্টা হয়েছে এ মূহুর্তে বলতে পারছি না। পরিস্থিতি ঠিক হলে আমরা বিস্তারিত জানাবো,” বেলা চারটার দিকে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বিবিসিকে বলেছেন বেলা এগারটার দিকে হঠাৎ কোরআন অবমাননা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। তিনি বলেন দশটার পর নানুয়ারদীঘির মণ্ডপে কোরআন নজরে পড়লে দ্রুত পুলিশকে জানানো হয় এবং পুলিশ তখনি এসে কোরআনটি সরিয়ে নেয়।
“কিন্তু খবরটি খুব দ্রুত ছড়ানো হয় এবং কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় অনেকে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মণ্ডপ গুলোতে হামলা করা শুরু হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়”। তিনি বলেন কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেলেও সেগুলো কোথায় হয়েছে তা বোঝা যায়নি।
এদিকে ঘটনার পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরআন অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে ব্যাপক প্রচার শুরু হয় এবং অনেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনেকে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন। প্রসঙ্গত, বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায় এখন তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করছে।
ও ধর্মমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন । এবং আরো চমকপ্রদ তথ্য অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পবিত্র কোরআনকে অবশেষে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে । বেশকিছু পেইজে ও গ্রুপে একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত কথা না বাড়িয়ে এবারের মূল অংশে কুমিল্লা শহরের উত্তর পূজামণ্ডপে প্রকাশ্যে পবিত্র কুরআনে কারীম কে অসম্মান করার গুরুতর অভিযোগ এসেছে । এ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ।
এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে এর আগে দশটার পর নানুয়া দীঘির পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন নজরে পড়লে দ্রুত পুলিশকে জানানো হয় ।
বুধবার বেলা বারোটার দিকে নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার রাতে নগরীর দুর্গাপূজা মন্ডপের পবিত্র কোরআন শরীফ একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ মিছিল করেন সূত্র জানায় ওই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ যদি মণ্ডপে ভাঙচুর চালিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে এতে 5 জন আহত হয় । অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক
মোঃ কামরুল হাসান জানান আমরা পবিত্র কোরআনের মর্যাদা বলছি যারা এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে স্বাবলম্বী নেতারা আমাদের বলেছেন পুজো বন্ধ রাখতে কিন্তু আমরা তাদের পূজা চালিয়ে যেতে বলেছি বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ ইসলাম ধর্ম পালনের বিধান নেই এদিকে কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননা সংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুল হক জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী ঘোষণায় বলা হয় কুমিল্লায় পবিত্র কুরআনের সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো বলেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এদিকে এ ঘটনায় নিজের অবস্থান তুলে ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী কুমিল্লা শহরে অবস্থিত এবং প্রিয় জায়গা বিকেলবেলা আমি নিয়োগকর্তা হিন্দু-মুসলিম যে যার ধর্ম নিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেখে সবাই অবাক হয়েছেন রহমান বলেন হিন্দু হোক মুসলিম হোক এ ধরনের কোন প্রকৃত ধার্মিক থাকার কথা না এটা অনেকের কাছে স্পষ্ট উস্কানিমূলক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত তিনি বলেন আজকের ঘটনাটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফায়দা হাসিলের একটা পরিকল্পিত নীলনকশা হতে পারে এগুলো বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চক্রান্তের ।