ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে ১৫ দফা নির্দেশন
ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে ১৫ দফা নির্দেশনা।
জরিমানার বিধানসহ ১১ দফা বিধি-নিষেধ জারি করেছে
দেশে প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। বাড়ছে ওমিক্রন শনাক্তও। এ অবস্থায় করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হলে জরিমানার বিধানসহ ১১ দফা বিধি-নিষেধ জারি করেছে সরকার। গতকাল সোমবার জারি করা এই স্বাস্থ্যবিধি ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ১৫ জানুয়ারির পর অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া ছাড়া সরাসরি ক্লাসে যেতে পারবে না।
শনাক্ত ৮ শতাংশের বেশি : দেশে গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ সময় ২৬ হাজার ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তের হার ৮.৫৩ শতাংশ। এর আগে এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর। গত রবিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৬.৭৮ শতাংশ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তিনজন। এ নিয়ে দেশে গতকাল পর্যন্ত মোট মারা গেছে ২৮ হাজার ১০৫ জন।
আরো ৯ ওমিক্রন শনাক্ত : করোনার জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটায় (জিআইএসএআইডি) গত সোমবার তথ্য মিলেছে, দেশে আরো ৯ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে বলা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরো বেশি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশে এখনো করোনার ডেল্টা ধরনেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে ওমিক্রন ধরনে সংক্রমণও বাড়ছে।
দেশে নতুন ধরনের প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশিকা সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আজ বলেছি সাত দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও একমত হয়েছেন।’ দুপুরে মন্ত্রীর বক্তব্যের পর তথ্য অধিদফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ দফা নির্দেশনার কথা জানান ।
ওমিক্রন কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে-
সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জমায়েত নিরুৎসাহিত করতে হবে।
বাড়ির বাইরে সর্বদা আপনার নাক এবং মুখ সঠিকভাবে ঢেকে রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।
রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা কম মানুষ বসে খেতে পারেন।
অর্ধেক বা তার কম লোক সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্পট, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) অংশ নিতে পারে।
মসজিদ সহ অন্যান্য উপাসনালয়ে, মুখোশ অপসারণ সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মগুলি নিশ্চিত করতে হবে।
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করুন।
আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের অবশ্যই 14 দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) এবং কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে, পরিষেবা গ্রহীতা, পরিষেবা প্রদানকারী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের তাদের নাক এবং মুখ সঠিকভাবে ঢেকে এবং মাস্ক পরার মাধ্যমে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
যারা এখনও কোভিড ভ্যাকসিন পাননি, তাদের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
কোভিড লক্ষণ/লক্ষণ সহ সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত কোভিড রোগীদের বিচ্ছিন্নকরণ এবং কোভিড রোগীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
কোভিড উপসর্গ সহ একজন ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা উচিত এবং তার নমুনা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে পরীক্ষার জন্য সহায়তা করা উচিত।
প্রিয় ভাইয়েরা আপনারা নিজের শরীরের যত্ন রাখবেন আপনার ধরনের সমস্যা হলে পরে আপনারা দ্রুত গতিতে আপনার বাড়ির পাশে মেডিকেল কিংবা হাসপাতলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন ধন্যবাদ সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আমরা সবসময় আপনাদেরকে নতুন তথ্য দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি।.
razuaman.com