কলা খাওয়ার উপকারিতা-razuaman.com

এনার্জি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। তাই খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দূর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে।
কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যার দূরে রাখতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের প্রথম সলিড খাওয়ানোর সময় অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান, যে কী ফল দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কলা। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
পেট পরিস্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। একটি কলায় থাকে ৩ গ্রাম ফাইবার। যা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।
কলা সারা বছরই পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে সাধারণ রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ‘টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়।
শর্করা:
কলা শর্করার ভালো উৎস। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কলা খাওয়াতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস আর নিয়মিত শরীরচর্চা করলে প্রতিদিন দুটি কলা খাওয়া যেতে পারে।
শক্তি লাভ:
কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রেইট শক্তি যোগায় এবং তা ধীরে শোষিত হয়। অন্যদিকে মিষ্টি ও চিনি-জাতীয় খাবার থেকে প্রাথমিক শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু তা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।
পেশিতে টান না পড়া:
কখনও কি মাঝরাতে পেশির টানে ঘুম ভেঙেছে? এই সমস্যা সমাধান করতে পারে কলা। কলা উচ্চ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা পেশির টানের সমস্যা দূর করে।
বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমায়:
কলা পাকস্থলীর অ্যাসিড পরিশোধিত করতে পারে। তাই বুক-জ্বালা পোড়ার সমস্যায় একের অধিক কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
রক্তশূন্যতা দূর করে:
লৌহের ঘাটতি দেখা দিলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। রক্তের লোহিত কণিকা বাড়াতে কলা সহায়তা করে।
পেট পরিষ্কার রাখা:
কলা উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ। নিয়মিত কলা খাওয়া পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।