চোখের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমানোর ৫ উপায়
এলার্জি বা চোখের শুষ্কতার জন্যও চোখে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়ে হয়ে থাকে। চোখের ব্যথার কারণে অনেক সময় মাথাও ব্যথা করে। নিয়মিত এ সমস্যায় ভুগতে থাকলে, তা হতে পারে নানা দুশ্চিন্তার কারণ।
চোখের এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া সমাধানের উপর ভরসা রাখতে পারেন। যেমন-
১) মাছের তেলে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছের তেল খেতে না পারলে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এই উপাদানটি চোখের জন্য খুবই ভালো। চোখের মেইবোমিয়ান গ্ল্যান্ড ভালো রাখে। চোখের পাতার একদম কোণায় এই গ্ল্যান্ড থাকে।
২) নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখুন। সামান্য পরিমাণে গরম বা ঠাণ্ডা পানিতে তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এভাবে চোখের পাতা, আইল্যাশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। দিনে যতবার পারবেন, চোখ ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।
৩) সূর্য রশ্মি থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি অনেকের শরীরেই লাগে না। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি শূন্যতা হয়ে যায়। যা বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
৪) পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটে। ঠিক একইভাবে চোখও ভালো রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যায় সেই সাথে চোখের দৃষ্টিও কমে যায়।
৫) সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করার কারণে চোখে ভীষণ চাপ পড়ে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আইড্রপ ব্যবহার করুন। এই ধরনের আইড্রপগুলো চোখ পরিষ্কার রাখে ও চোখের শুষ্কতা দূর করে। ড্রপ ব্যবহারের পর অবশ্যই বিশ্রাম নিবেন এবং চোখ ম্যাসাজ করবেন।
চোখের ব্যাথার ড্রপ এর নাম
চোখে ব্যথা হলে কি করব
চোখের ব্যাথার ঔষধ
শিশুর চোখ উঠলে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
আমাদের পঞ্চইদ্রীয়ের মধ্যে দেখার মাধ্যমে চোখ খুব সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। আর এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি ছোট-বড় সবারই বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চোখ ওঠা দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগ নয়। এটা একটি স্বল্পমেয়াদি রোগ। ছোট-বড় সবারই চোখ উঠতে পারে।
চোখ ওঠার লক্ষণ
১.হঠাৎ করে শিশুর চোখ লাল হয়ে যায়। অনেক সময় চোখের উপরিভাগে পাতলা ঝিল্লির নিচে ২.রক্তক্ষরণও হতে পারে।
৩.চোখের পাতা ফুলে যায়।
৪.সকালবেলা চোখে পিঁচুটি জমে চোখ আটকে যায়।
৫.সারাদিন ময়লা জমবে চোখে এবং সঙ্গে পানি পড়বে।
কী করবেন?
১.শিশুর চোখ নিয়মিত পরিষ্কর রাখুন।
২.চোখ ওঠার ফলে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হতে পারে। আর সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
৩.যেসব শিশু স্কুলে যায় তাদের ক্ষেত্রে কয়েকদিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।
৪.স্কুলে গেলে অন্য বাচ্চাটিও এ রোগে সংক্রমিত হতে পারে।
৫.বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে রোগীকে।
৬.তুলা ভিজিয়ে শিশুর চোখ পরিষ্কার করুন।
যা করা যাবে না
১.ঘন ঘন চোখে পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই।
২.একটি রুমাল ব্যবহার করার পর বারবার সেটা ব্যবহার করা যাবে না।
৩.টিসু পেপার ব্যবহার করার পর সেটি হাতে রেখে দেয়া চলবে না। একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দিতে হবে।
৪.একজনের চোখের ড্রপ অন্যজনের ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে করে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
৫.শক্ত কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে না। শিশুর চোখে কাজল দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
চোখ উঠলে শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। আর শিশুর চোখ ভালো রাখতে চাইলে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও দৈনিক যুগান্তর অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন razuslam@gmail.com