২১৩.“আমি জাহান্নামের মত ভয়ংকর কোন জিনিস দেখিনি, যার পলায়নকারীরা ঘুমন্ত।জান্নাতের মত লোভনীয় কোন জিনিস দেখিনি, যার সন্ধানকারীরা ঘুমন্ত।”
২১৪.“যা দগ্ধ করা হয়েছে হাজার বছর, যার ফলে সে লাল হয়ে গেছে; পুনঃরায় দগ্ধ করা হয়েছে হাজার বৎসর, যার ফলে সে সাদা হয়ে গেছে;পুনঃরায় দগ্ধ করা হয়েছে হাজার বছর, যার ফলে সে কালো হয়ে গেছে। সে বিদঘুটে কালো;অন্ধকার; তার এক অংশ অপর অংশকে ভস্ব করে দিচ্ছে।”
২১৫.রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
“আমাদের এ আগুন, জাহান্নামের সত্তর ভাগের এক ভাগ।”
২১৬.“জাহান্নামের ভেতর সবচেয়ে হালকা শাস্তি হবে সে ব্য্যক্তির, যার দুটি আগুনের জুতো থাকবে,যার কারণে তার মস্তক টকবগ করবে, সে অন্য কাউকে তার চেয়ে বেশী শাস্তিভোগকারী মনে করবে না। অথচ সে-ই সবচেয়ে কম শাস্তিভোগকারী। জাহান্নমের সাতটি দরজা রয়েছে। সব কটি দরজা লোহার খুটি দ্বারা আটঁকে দিয়ে জাহান্নামিদের বন্ধি করে রাখা হবে।
২১৭.জাহান্নামের গভীরতার পরিমাণ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
”তার মুখ থেকে একটি বিরাট পাথর নিক্ষেপ করা হবে, সত্তর বৎসর পর্যন্ত গভীরে যেতে থাকবে, তবুও তার গভীরতার নাগাল পাবে না।” যখন-ই কোন ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, সে বলবে, আরো আছে কি? তবে নিশ্চিত আল্লাহ তাআলা নিজ ঘোষণা অনুযায়ী জাহান্নাম পূর্ণ করে দিবেন।
২১৮.রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যদি যাক্কুমের এক ফোটা দুনিয়ায় টপকে পড়ত, তবে এতে বসবাসকারীদের জীবন-উপকরণ ধ্বংস হয়ে যেত। সে ব্যক্তির অবস্থা কেমন হবে, যার খাদ্য-ই হবে যাক্কুম”?তাতে পান করার জন্য আছে, গরম টগবগে পানি,পুঁজ, গীসলীন অর্থাৎ জাহান্নামীদের গাঁ ধোয়া পানি, পূঁজ ও বমি।
২১৯.সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
“জাহান্নাম তার প্রভুর কাছে অভিযোগ করেছে, হে আমার রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে নিচ্ছে; অতঃপর আল্লাহ তাকে দুটি নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুমতি দেন। একটি গ্রীষ্মকালে অপরটি শীতকালে। তোমরা যে প্রচন্ড গরম ও কনকনে শীত অনুভব কর, তাই সে নিঃশ্বাস।”
razuaman.com