ডায়াবেটিস বাসা আপনার শরীরে কি বুঝে নিন এই লক্ষণগুলি দেখে

ডায়াবেটিস
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আজকে যে বিষয়ে আলোচনা করব বিষয়টি হচ্ছে ডায়াবেটিসের লক্ষণ ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায়। আমরা কোন নিয়মে চললে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকবো।

চলুন বিস্তারিত :

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। ই রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হল, অষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।সঠিক সময়ে শারীরিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘ স্বাভাবিক জীবন পাওয়া সম্ভব। ডায়াবেটিসের প্রাথমিক উপসর্গগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

ডায়াবেটিসতেষ্টা ও প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি: পিপাসা বা তেষ্টা বেড়ে যাওয়া বা ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার সমস্যা দুটি ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ লক্ষণ। সাধারণত, একজন সুস্থ মানুষ সারাদিনে ৬-৭ বার প্রস্রাব করেন। পরিবেশ বা পরিস্থিতি পরিবর্তনে দিনে ৪-১০ বার প্রস্রাবকেও স্বাভাবিক ধরা হয়। তার বেশি হলেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।আরও পড়ুন: মাত্র তিনটি ঢ্যাড়স নিয়ন্ত্রণে রাখবে ডায়াবেটিসের সমস্যা! খিদে (ক্ষুধা) বেড়ে যাওয়া: ডায়াবেটিসের তিনটি প্রধান লক্ষণের মধ্যে অন্যতম হল খিদে (ক্ষুধা) বেড়ে যাওয়া।

বারবার খাবার খাওয়ার পরেও একটা খিদে খিদে ভাব থেকেই যায়। এমন হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত্।অবসাদ বা ক্লান্তি বোধ: পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি সারাদিন অস্বাভাবিক ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কারণ, ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রস্রাবের ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
তাই শরীর ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।অস্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস: খাদ্যাভ্যাসে কোনও ধরনের বিশেষ পরিবর্তন বা শরীরচর্চা ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ। ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। আর সেই ঘাটতি পূরণের জন্য শরীর তার ফ্যাট ব্যবহার করা শুরু করে। ফলে শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে, ওজন কমতে থাকে।ত্বকে চুলকানি ভাব: ডায়াবেটিসের ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকের উপরিভাগে সংক্রমণ দেখা দেয়। ত্বকে চুলকানি, জ্বালা ভাব অস্বস্তি তৈরি করে। ত্বকের সংক্রমণ বা চুলকানির আর একটি কারণ হল ইস্ট ইনফেকশন।
যে সমস্যাটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক সমস্যা।অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি: দৃষ্টি হঠাত্ করে যদি অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে থাকে এবং তার জন্য যদি চোখের কোনও সমস্যা না থাকে, তবে বুঝতে হবে ডায়াবেটিসের সমস্যার জন্যই এমনটা হচ্ছে। শরীরের অভ্যন্তরে তরলের মাত্রার তারতম্য হওয়ায় চোখ ফুলে যায়। ফলে দৃষ্টি হঠাত্ করে অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে থাকে। এমন হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত্।ক্ষতস্থান নিরাময় হতে সময় লাগা: শরীরের যে কোনও কাটা-ছেড়া ও ক্ষতস্থান শুকতে বা সেরে উঠতে যদি অনেক বেশি সময় লাগে তবে তা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এমন হলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
তো আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন দোয়া করবেন । আমরা যেন আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে পারি সেই আশায় আজকের মত বিদায় । ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *