নাকের হাড় যাঁদের একটু বাঁকা, সামান্য ঠান্ডা লাগলেই ঘুমনোর সময় প্রায়ই তাদের নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। সাধারণত বাজারচলতি নানা রকমের নাকের ড্রপ দিয়েই এই সমস্যার সহজ সমাধান মেলে।
কিন্তু মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাটের মতে,‘‘এমন নাকের ড্রপ একটানা রোজ নিয়ে গেলে এক সময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে ও এই ড্রপ ছাড়া কিছুতেই ঘুম আসবে না। তাই এই সব ড্রপ খুব অসুবিধা হলে তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিন, নয়তো রোজই এ সব নিতে নিতে এক সময় ঘুমের ওষুধের মতো বদভ্যাসে পরিণত হবে।’
নাক, কান ও গলা এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে সমস্ত শরীরটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকের ভেতর হতে পারে। প্রথমে ইহা দেখতে মটরশুটির মতো হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বাহির হতে দেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙ্গুরের মতো। নাসিকার্বুদ নাসা রন্দ্রের শৈষ্মিক ঝিল্লি হতে উদ্ভেদ হয়।
এ রোগ লক্ষণে নাসারন্দ্রের অস্বাভাবিক পরিলক্ষিত হয়। নাসিকা প্রদাহ বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। নাসিকার্বুদ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। নাসাবুর্দ প্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। নাকের ছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়।
রক্তে সিরাম আইজিই এর পরিমাণ বেড়ে গেলে হোন্ডা, সর্দ্দি, হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে পারে। নাকের ভেতরের শৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালারজিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের পি-ের আবির্ভাব হয়। যা দেখতে আঙ্গুরের মতো এ ধরনের সমস্যাকে নাকের পলিপাস বলে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেই সমস্যা বেশি দেখা দেয়, বার বার হাঁচি, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে, নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথায় ব্যথা হয়, নাক চুলকায়, নাকে ব্যথা ও স্মৃতি শক্তি কমে যায় এবং মুখ হ্যাঁ করে নিঃশ্বাস নিতে হয় ঘুমের কষ্ট হয়।