পাকিস্তানের বিপক্ষে গোটা সিরিজেই অভিজ্ঞ ওপেনারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই সিরিজে অবশ্য ওয়ানডে নেই। তাই ওয়ানডের নেতৃত্বে বিকল্প হিসেবে কাউকে খুঁজতে হচ্ছে না আপাতত। এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গত ৬ অক্টোবর ব্যাটিংয়ের সময় বাঁহাতে বুড়ো আঙুলে আঘাত পান তামিম। দেশে ফিরে এক্স-রে করিয়ে ধরা পড়ে চিড়। মাসখানেক সময় মাঠের বাইরে থেকে সম্প্রতি তিনি শুরু করেন নেটে ব্যাটিং।
শুরুতে টেনিস বলে হালকা ব্যাটিংয়ের পর নেটে পুরোদমে ব্যাটিংয়ে ফেরেন। কিন্তু পেস বোলিং খেলতে গেলেই অনুভব করছিলেন ব্যথা। সেই ব্যথার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই রোববার আবার এক্স-রে করিয়ে ধরা পড়ে নতুন চিড়।
“আগের ফ্র্যাকচারটা ছিল ভেতরের দিকে। ওটা প্রায় সেরে গেছে। কিন্তু আমার আঙুল ফোলা ছিল বাইরের দিকে। সেজন্যই কৌতূহলবশত এক্স-রে করে দেখা গেল, ওপরের দিকে ফ্র্যাকচার আছে। সম্ভবত একসঙ্গেই দুই জায়গায় ফ্র্যাকচার হয়েছিল, আগের এক্স-রেতে ওপরের দিকেরটা ধরা পড়েনি।”“এখন আবার আঙুলে স্প্লিন্ট লাগানো হয়েছে। আঙুল নড়া-চড়া বন্ধ। আবার পুরো প্রক্রিয়া শুরু।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২০ ও ২২ নভেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।
টি-টোয়েন্টি শেষে দুই দল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৬ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

চোটের অবস্থা বুঝে দেখার জন্য রোববার (১৪ নভেম্বর) এক্সরে করান তামিম। সেই এক্সরে বয়ে আনল দুঃসংবাদ। তার আঙুলে ধরা পড়েছে নতুন চিড়। ফলে আবারও ছিটকে গেলেন মাঠের বাইরে।
দুঃসংবাদটা দিয়েছেন তামিম নিজেই। জানালেন, আগের ফ্র্যাকচারটা ছিল ভেতরের দিকে। যেটা প্রায় সেরে গেছে। বিশেষজ্ঞ দেখাতে দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট পেলে যেতে চান লন্ডন। এখন তার শঙ্কা, অস্ত্রোপচার লাগে কি না।
গত জুলাই থেকেই লাল-সবুজের জার্সিতে খেলছেন না তামিম। হাঁটুর চোটে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি। এমনকি ছিলেন না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।