পাসপোর্ট নবায়ন করবেন কিভাবে-razu aman

মূল আবেদনের রঙ্গিন প্রিন্টেড কপিঃ আবেদন করতে epassport.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করুন। আবেদন শেষ হলে আলাদা করে আবেদনের রঙ্গিন কপি প্রিন্ট করে নিতে হবে। ৩) পুরাতন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও এর ফটোকপি। ৪) ব্যাংকে পাসপোর্টের ফি জমা দিলে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ।
আবেদন করবেন কিভাবে : অনলাইন অথবা পাসপোর্ট অফিস নির্ধারিত নবায়ন/রিইস্যু ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
ফরম পূরণ করার সময় আপনি যদি আপনার বর্তমান পাসপোর্টের কোনো তথ্য সংশোধন/পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে নিচের ঘরে দুটি নিয়ম সুন্দর করে লেখা আছে। যদি কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে দ্বিতীয় ঘরে লিখবেন। তবে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়।
আবেদনের সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টে যে পেজে ছবি আছে সে পেজ ফটোকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ জমা দিতে হবে। সবার ওপরে টাকা জমার রশিদ আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।
ফি কত লাগবে : কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। যেমন ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য যদি মেয়াদ শেষ এবং ১ বছরের মধ্যে হয় তখন ৩ হাজার ৭৯৫ টাকা জমা। মেয়াদ শেষ এবং ২ বছরের মধ্যে হলে ৪ হাজার ১৪০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৩ বছরের মধ্যে হলে ৪ হাজার ৪৮৫ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৪ বছরের মধ্যে হলে ৪ হাজার ৮৩০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৫ বছরের মধ্যে হলে ৫ হাজার ১৭৫ টাকা।
এটি পেতে সময় লাগবে ২১ দিন। জরুরি করার জন্য মেয়াদ শেষ এবং ১ বছরের মধ্যে হলে ৭ হাজার ২৪৫ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ২ বছরের মধ্যে হলে ৭ হাজার ৫৯০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৩ বছরের মধ্যে হলে ৭ হাজার ৯৩৫ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৪ বছরের মধ্যে হলে ৮ হাজার ২৮০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৫ বছরের মধ্যে হলে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। এটি পেতে সময় লাগবে ১১ দিন।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ বা নবায়ন এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?
আপনার আগের পাসপোর্টের সাথে যদি নতুন পাসপোর্টের সব তথ্য যদি ঠিক থাকে বা কোনো কিছু পরিবর্তন করা না লাগে তাহলে, যা যা লাগবে তা হলঃ
- পূরণকৃত রিনিউ বা নবায়ন ফরম,
- পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি,
- ব্যাংকে ফি জমা প্রদানের স্লিপের মূল কপি,
- জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
- পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ১ কপি,
- আপনার মেয়াদ শেষ হওয়া পাসপোর্ট সাথে নিয়ে আসতে হবে (শুধুমাত্র দেখানোর জন্য)
- আর আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি পরিবর্তন হয় তাহলে যা যা লাগবেঃ
- বর্তমান বাসা ভাড়া পরিশোধের মূল রশিদের কপি,
- ঠিকানা প্রমানের জন্য বিদ্যুত বা গ্যাস বিলের সত্যায়িত ফটোকপি,
- আপনি যদি চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে অফিস আইডি কার্ডের কপি,
- যদি ছাত্র হন তাহলে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি,
- আর যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে টিন সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- আর আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি পরিবর্তন হয় তাহলে যা যা লাগবেঃ
One Comment