পুদিনা পাতার উপকারিতা-razuaman.com

পুদিনা পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত।ভারতের ‘আরব্রো ফার্মাসিউটিকাল’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌরভ অরোরা বলেন, “পুদিনা পাতায় পাওয়া যায় ‘পলিফেনল’ যা একে ঔষধি গুণ দেয়। হাঁপানি, পেটের গোলমাল সারাতে তাই পুদিনা পাতা বিশেষ উপকারী।”অপরদিকে এর ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি সবকিছুরই মাত্রা কম। ভিটামিন এ, সি আর বি – কমপ্লেক্স মেলে পুদিনা পাতা থেকে, যা ত্বকের যত্নে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত জরুরি উপাদান। এছাড়াও এই পাতায় মেলে লৌহ, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ উপাদানগুলো রক্তে ‘হিমোগ্লোবিন’য়ের মাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অটুট রাখে।
হজমে সহায়ক:
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রান্না এবং সাজগোজ ছাড়াও এই পাতা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিন্তু খুব কম লোকই এগুলো সম্পর্কে জানে।
আসুন জেনে নেই গোলমরিচের বৈশিষ্ট্য বা উপকারিতা
1. প্রথমত, আমি এই পাতার ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে কথা বলব। সর্দিজনিত সমস্যা যেমন হাঁচি, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস এবং গলা ব্যাথা এই পুদিনা পাতা অন্তত একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। পুদিনা পাতা তাৎক্ষণিক উপশমে বেশ কার্যকর। শ্বাসকষ্ট ও কাশির ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস খুবই উপকারী হতে পারে।
2. পুদিনায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। যারা ব্রণ এবং তৈলাক্ত ত্বক কমাতে চান তাদের জন্য এই পাতাটি ত্বকে লাগিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুবার প্রয়োগ করলে শুধু ব্রণ দূর হবে না, ত্বকের দাগও দূর হবে।
3. পেপারমিন্ট পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা পেট ফাঁপা, ফুলে যাওয়া এবং বদহজম খুব দ্রুত উপশম করতে পারে। আপনি প্রতিদিন খাবারের পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা বা জুস পান করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি যদি এই জুস খালি খেতে পছন্দ না করেন তাহলে আপনি একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
4. বর্তমানে, আমাদের জীবনে বিভিন্ন সময়ে মানসিক চাপের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার গন্ধ ভালো ফল দেয়। এক মুঠো পুদিনা পাতা গরম পানিতে রেখে বাষ্প করা সমান উপকারী।
এই গরমে ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনা পাতার রস এবং অ্যালোভেরার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সানবার্ন বিরক্ত হবে না।