একজন মুসলিম ব্যক্তির ইবাদত সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব ‘আল কুরআনে’। এর পাশাপাশি রয়েছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী ও জীবনাচরণ অর্থাৎ হাদিস। কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা জানার অধিকার রয়েছে সকল মুসলিমের। আপনার সেই অধিকার পূরণের লক্ষ্যেই ‘দৈনিক অধিকার’ …
রাসুল (সা.) কখন, কীভাবে হাত তুলে মোনাজাত করেছেন?
আপনার জিজ্ঞাসার ২২৩৯তম পর্বে রাসুল (সা.) কখন, কীভাবে এবং কোন কোন অবস্থায় হাত তুলে মোনাজাত করেছেন সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : ফরজ সালাত আদায়ের পর সম্মলিত মোনাজাত নেই। তবে রাসুল (সা.) অনেক জায়গায় হাত তুলে মোনাজাত করেছেন। কখন,
কীভাবে এবং কোন কোন অবস্থায় হাত তুলে মোনাজাত করেছেন জানাবেন কি?
উত্তর : হ্যাঁ, আপনি সঠিক বলেছেন। ফরজ সালাতের পর রাসুল (সা.) সাহাবীদের নিয়ে অথবা মুসলমানদের নিয়ে দোয়া করেছেন, এই মর্মে কোনো রেওয়ায়েত সাব্যস্ত হয়নি। নবী করিম (সা.) বিভিন্ন সময় দোয়া করেছেন, যেমন: সাহাবাদের নিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছেন, আরাফাতের ময়দানে দোয়া করেছেন, কখনও কখনও খাওয়ার পরেও দোয়া করেছেন।
তাই এখান থেকে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, যদি কেউ দোয়া করতে চান, আর সেটাকে যদি নিজেরা সুন্নাত বা বাধ্যতামূলক না করেন বা সেটাকে সুনির্দিষ্ট নিয়মে পরিণত না করেন, তাহলে সম্মিলিত দোয়া করতে পারেন। সম্মিলিত দোয়া করা হারাম, নিষিদ্ধ বা বেদাত নয়। কিন্তু সেটাকে সুন্নাতে পরিণত করে নেওয়া অথবা নিজের জন্য বাধ্য করে নেওয়া, এই কাজটি সুন্নাহ পরিপন্থী। এটি বেদাতে পরিণত হবে।
কেউ যদি মনে করেন যে, আল্লাহর নেক বান্দা নিজের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তাঁর ফায়দা হবে, তাহলে এ কাজটি করা জায়েজ রয়েছে। দ্বিতীয় হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের পর হাত তুলে মোনাজাত করতেন। তৃতীয় হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন তখন তা কবূল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে। চতুর্থ হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে যে, নামায শেষে মোনাজাত কবূল হয়।
আশা করি আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন আর আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিবেন । সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ razuaman.com