জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ 2023
![বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ নিবন্ধ আলোচনা পড়ুন সম্পাদনা ইতিহাস দেখুন উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে সরকারি ছুটির দিনের জন্য, বাংলাদেশের সরকারি ছুটির দিন দেখুন। এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে পালিত আন্তর্জাতিক, বৈশ্বিক, সরকারি দিবসসমূহের একটি তালিকা। বিশ্ব দিবস তালিকা সাথে বিভ্রান্ত হবে না। বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসসমূহকে। এই সবগুলো দিবসের তালিকা নিম্নে প্রণীত হলো। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ঐ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়। বাংলাদেশের দিবসসমূহ শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে "বাংলাদেশের দিবস" বলা হচ্ছে। এই দিবসগুলো শ্রেফ বাংলাদেশেই পালিত হয়। অবশ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসি বাঙালিরাও এই দিবসগুলো সীমিতাকারে পালন করে থাকেন। জানুয়ারি জাতীয় সামাজসেবা দিবস : ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস* : ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বদেশে (বাংলাদেশের ভুখন্ডে) ফিরে আসেন, তারই উপলক্ষে এই দিবসটি পালিত হয়।[১] জাতীয় শিক্ষক দিবস : ১৯ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস : ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নামের একজন ছাত্রনেতা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) শাসক আইয়ুবশাহীর পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ১৯৬৯ সালের বাঙালির গণ-আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন, অন্য দু'জন হচ্ছেন- শহীদ রুস্তম ও শহীদ মতিউর।[২] গণঅভ্যুত্থান দিবস : ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। সেই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়।[৩] কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস : ২৫ জানুয়ারি প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপলের ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারে এদিন প্রথম বাংলা লিখন চালু করেন।[৩] সলঙ্গা দিবস : ২৭ জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি জাতীয় জনসংখ্যা দিবস : ০২ ফেব্রুয়ারি প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পালিত বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের একটি পোস্টার। প্রচারেঃ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্থান: জাতীয় গণগ্রন্থাগার, শাহবাগ, ঢাকা। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস : ০৫ ফেব্রুয়ারি সড়ক হত্যা দিবস: ১১ই ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনে দিবসটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[৪] শহীদ দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস : ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস : ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস : ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ড. মো. ইব্রাহিমের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এই দিনটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা তৈরিতে উপজীব্য করা হয়। এছাড়াও প্রতি বছরই ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।[৫] মার্চ জাতীয় বিমা দিবস : ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস : ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস : ২ মার্চ টাকা দিবস : ৪ মার্চ[৬] জাতীয় পাট দিবস : ৬ মার্চ ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ জাতীয় দিবস: ৭ মার্চ জাতীয় নারী দিবস: ৮ মার্চ শিশু দিবস : ১৭ মার্চ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম তারিখে শিশু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] থেকে। পতাকা উত্তোলন দিবস* : ২৩ মার্চ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পল্টন ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। এই দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাস্বরূপ পালিত হয়।[৭] স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস : ২৬ মার্চ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যা 'স্বাধীনতার ঘোষণা' হিসেবে সমধিক পরিচিত। ঐ দিন বেশ কয়েকবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে এই ঘোষণা প্রচারিত হয় এবং বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে যোগদান করে। এই যুদ্ধ ঐ বছরই ১৬ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের এই দিনটিকে 'স্বাধীনতা ঘোষণার দিবস' বা 'স্বাধীনতা দিবস' হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস : ৩১ মার্চ ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে, দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতিস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৮] এপ্রিল জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস : ২ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস: ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : ৮ এপ্রিল "প্রত্যেকে আমারা পরের তরে" মূলমন্ত্রে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ : ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বর্ষশুরু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। মুজিবনগর দিবস* : ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার (বর্তমান মেহেরপুর জেলা) বৈদ্যনাথতলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিপ্লবী সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো।[৯] জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস : ২৮ এপ্রিল মে মহান মে দিবস : ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস। ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বা ফারাক্কা দিবস : ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাধাপ্রাপ্ত জলপ্রবাহের নিমিত্তে বাংলার মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে লাখো মানুষ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলো। সেই দাবিকে বারে বারে উত্থাপনের লক্ষ্যেই প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়।[১০] জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস : ২৩ মে ২০০৪ সালের ২৩ মে বাংলাদেশের চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে ডুবে যায় ফিটনেসবিহীন লঞ্চ এমভি লাইটিং সান। মাদারীপুর থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে চার শতাধিক যাত্রী ছিলেন যার অধিকাংশের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার চার দিন পর শেষ উদ্ধারকৃত লাশটি ছিল সুমন শামসের মায়ের। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় নিরাপদ নৌ চলাচলের নিশ্চয়তার দাবীতে এবং নদ-নদী দখল-দূষণ রোধে সামাজিক সংগঠন নোঙর - এর কার্যক্রম। নোঙর গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বহুবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে। নৌ নিরাপত্তা বিষয়ে দেশব্যাপী জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সমাজের সকল শ্রেণীর অংশগ্রহণে চলছে নানান কর্মকাণ্ড। গত ২৩ মে ২০১৬ বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উপস্থিতিতে নৌ নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ভাসমান সেমিনারে ২৩ মে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবী তোলেন নোঙর সভাপতি সুমন শামস, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান-কে জানানো হলে তিনি এবং উপস্থিত সবাই এই বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।[১১][১২][১৩] বাংলাদেশের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর জন্মবার্ষিকী : ২৫ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস : ২৮ মে জুন জাতীয় চা দিবস : ৪ জুন ছয় দফা দিবস* : ৭ জুন[১৪] তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে রাস্তায় নেমে আসে লাখো লাখো মানুষ। হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নিহত হোন অন্তত ১১জন। তাঁদের স্মরণে এবং জাতীয় মুক্তির স্বারকস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[১৫] নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস বা ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস : ১৩ জুন নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশব্যাপী ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত ও প্রথম পালিত হয়।[১৫] পলাশী দিবস : ২৩ জুন জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস : ১ জুলাই ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।[১৬] আগস্ট জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস: ৯ আগস্ট শোক দিবস : ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে বাংলাদেশের জাতির জনক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস : ২৭ আগস্ট ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে খুলনার দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদারদের গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালানো গণহত্যায় ৬০ জন নিরপরাধ বাঙালির হত্যা উপলক্ষে পালিত দিবস।[১৭] সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবস : ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা-সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি চালু করার দাবিতে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলন দমাতে পুলিশ ঢাকার হাইকোর্ট মোড়ে গুলি চালায়। ন্যায্য দাবির জন্য এই গণহত্যার স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।[১৮] কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস : ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দিনে হবিগঞ্জের কৃষ্ণপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১২৭জন পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এছাড়া আশেপাশের এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে আরো প্রায় শতাধিক পুরুষকে হত্যা করে তারা।[১৮] প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস : ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মাহুতি দেন। তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্য সেনের সংস্পর্শে এসে এই সশস্ত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হোন।[১৮] মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস (গোপালপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার স্মরণে) : ২৯ সেপ্টেম্বর[১৯] কন্যা শিশু দিবস : ৩০ সেপ্টেম্বর [২০] অক্টোবর পথশিশু দিবস বা সুবিধাবঞ্চিত শিশু দিবস :২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস :২ অক্টোবর শিক্ষক দিবস : ৫ অক্টোবর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস :৬ অক্টোবর জাতীয় শেখ রাসেল দিবস : ১৮ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস : ২২ অক্টোবর নভেম্বর জাতীয় সমবায় দিবস : প্রথম শনিবার জেলহত্যা দিবস* : ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে। এই চার নেতা হলেন: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এই দিবসটি স্মরণ করে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালিত হয়।[২১] ঘটনার পরদিনই ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। সংবিধান দিবস : ৪ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস* : ৭ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস বা স্বৈরাচার বিরোধী দিবস : ১০ নভেম্বর সশস্ত্রবাহিনী দিবস : ২১ নভেম্বর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশের সর্বদিক দিয়ে সামরিক বাহিনীসহ তৎকালীন বাঙালি আপামর জনতা একত্রে আক্রমণ করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদারদের উপর। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ রেখেই অতীতে বিভিন্ন দিবসে পালিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে এই দিনে পালন করা হয়।[২২] জাতীয় আয়কর দিবস : ৩০ নভেম্ববর ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই দিবস বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস* : ১ ডিসেম্বর এই দিনটি বেসরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন প্রতিবছর। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চেতনা পৌছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনটিকে সরকারীভাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবী জানাচ্ছেন। [২৩] স্বৈরাচার পতন দিবস* বা সংবিধান সংরক্ষণ দিবস : ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। পরবর্তীতে এরশাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি এই দিনটিকে 'সংবিধান সংরক্ষণ দিবস' হিসেবে পালন করে।[২২] জাতীয় যুব দিবস : ৮ ডিসেম্বর[২২] বেগম রোকেয়া দিবস : ৯ ডিসেম্বর[২২] জাতীয় ভ্যাট দিবস : ১০ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস :১২ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস : ১৪ ডিসেম্বর বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর বাংলা ব্লগ দিবস: ১৯ ডিসেম্বর দিবসটি প্রথমবার পালিত হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারনেটে প্রথম বাংলা ব্লগিং-এর সূচনা হয়। মূলত ব্লগিং, বিশেষ করে বাংলায় ব্লগিং-এ আগ্রহী করতেই ব্লগাররা দিবসটি পালন করে আসছেন।[২৪]](https://razuaman.com/wp-content/uploads/2023/01/বাংলাদেশে-পালিত-দিবসসমূহ.png)
জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ – বিভিন্ন দিবস সমূহ – বিশ্ব দিবস তালিকা
২৬ মার্চ ==> স্বাধীনতা দিবস। ৩১ মার্চ ==> জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। ২ এপ্রিল ==> জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। ৭ এপ্রিল ==> বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
প্রতি বৎসর বিভিন্ন দিনে বিশ্বব্যাপী নানা “দিবস” পালিত হয়। এই সকল বৈশ্বিক দিবস বা বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবসসমূহের তালিকা এই পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো। এই সকল দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে – কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে আন্তর্জাতিকভাবে সাম্প্রতিককালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি বা ক্ষেত্র বিশেষে কোন অতীত ঘটনা স্মরণ বা উদ্যাপন করা। জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ 2023
আরো পড়ুন
বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ
এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে পালিত আন্তর্জাতিক, বৈশ্বিক, সরকারি দিবসসমূহের একটি তালিকা। বিশ্ব দিবস তালিকা সাথে বিভ্রান্ত হবে না।
বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসসমূহকে। এই সবগুলো দিবসের তালিকা নিম্নে প্রণীত হলো। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ঐ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়।
বাংলাদেশের দিবসসমূহ[সম্পাদনা] জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে “বাংলাদেশের দিবস” বলা হচ্ছে। এই দিবসগুলো শ্রেফ বাংলাদেশেই পালিত হয়। অবশ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসি বাঙালিরাও এই দিবসগুলো সীমিতাকারে পালন করে থাকেন।
জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
জানুয়ারি[সম্পাদনা]
- জাতীয় সামাজসেবা দিবস : ২ জানুয়ারি জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস* : ১০ জানুয়ারি
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বদেশে (বাংলাদেশের ভুখন্ডে) ফিরে আসেন, তারই উপলক্ষে এই দিবসটি পালিত হয়।[১]
- জাতীয় শিক্ষক দিবস : ১৯ জানুয়ারি
- শহীদ আসাদ দিবস : ২০ জানুয়ারি
- ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নামের একজন ছাত্রনেতা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) শাসক আইয়ুবশাহীর পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ১৯৬৯ সালের বাঙালির গণ-আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন, অন্য দু’জন হচ্ছেন- শহীদ রুস্তম ও শহীদ মতিউর।[২]
- গণঅভ্যুত্থান দিবস : ২৪ জানুয়ারি
- ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। সেই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়।[৩]
- কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস : ২৫ জানুয়ারি জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
- প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপলের ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারে এদিন প্রথম বাংলা লিখন চালু করেন।[৩]
- সলঙ্গা দিবস : ২৭ জানুয়ারি
জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
ফেব্রুয়ারি[সম্পাদনা]
- জাতীয় জনসংখ্যা দিবস : ০২ ফেব্রুয়ারি

প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পালিত বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের একটি পোস্টার। প্রচারেঃ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্থান: জাতীয় গণগ্রন্থাগার, শাহবাগ, ঢাকা। জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
- জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস : ০৫ ফেব্রুয়ারি
- সড়ক হত্যা দিবস: ১১ই ফেব্রুয়ারি
- সুন্দরবন দিবস : ১৪ ফেব্রুয়ারি
- ২০০১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনে দিবসটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[৪]
- শহীদ দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস : ২১ ফেব্রুয়ারি
- জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস : ২৭ ফেব্রুয়ারি
- জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস : ২৮ ফেব্রুয়ারি
- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ড. মো. ইব্রাহিমের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এই দিনটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা তৈরিতে উপজীব্য করা হয়। এছাড়াও প্রতি বছরই ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।[৫]
মার্চ[সম্পাদনা ] জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
- জাতীয় বিমা দিবস : ১ মার্চ
- জাতীয় ভোটার দিবস : ২ মার্চ
- জাতীয় পতাকা দিবস : ২ মার্চ
- টাকা দিবস : ৪ মার্চ[৬]
- জাতীয় পাট দিবস : ৬ মার্চ
- ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ জাতীয় দিবস: ৭ মার্চ
- জাতীয় নারী দিবস: ৮ মার্চ
- শিশু দিবস : ১৭ মার্চ
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম তারিখে শিশু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] থেকে।
- পতাকা উত্তোলন দিবস* : ২৩ মার্চ
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পল্টন ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। এই দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাস্বরূপ পালিত হয়।[৭]
- স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস : ২৬ মার্চ জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যা ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। ঐ দিন বেশ কয়েকবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে এই ঘোষণা প্রচারিত হয় এবং বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে যোগদান করে। এই যুদ্ধ ঐ বছরই ১৬ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের এই দিনটিকে ‘স্বাধীনতা ঘোষণার দিবস’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
- জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস : ৩১ মার্চ
- ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে, দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতিস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৮]
এপ্রিল[সম্পাদনা ] জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
- জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস : ২ এপ্রিল
- জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস: ৩ এপ্রিল
- বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : ৮ এপ্রিল
- “প্রত্যেকে আমারা পরের তরে” মূলমন্ত্রে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে।
- পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ : ১৪ এপ্রিল
- বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বর্ষশুরু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
- মুজিবনগর দিবস* : ১৭ এপ্রিল
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার (বর্তমান মেহেরপুর জেলা) বৈদ্যনাথতলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিপ্লবী সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো।[৯]
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস : ২৮ এপ্রিল
মে[সম্পাদনা]
- মহান মে দিবস : ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস।
- ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বা ফারাক্কা দিবস : ১৬ মে
- ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাধাপ্রাপ্ত জলপ্রবাহের নিমিত্তে বাংলার মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে লাখো মানুষ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলো। সেই দাবিকে বারে বারে উত্থাপনের লক্ষ্যেই প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়।[১০]
- জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস : ২৩ মে
- ২০০৪ সালের ২৩ মে বাংলাদেশের চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে ডুবে যায় ফিটনেসবিহীন লঞ্চ এমভি লাইটিং সান। মাদারীপুর থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে চার শতাধিক যাত্রী ছিলেন যার অধিকাংশের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার চার দিন পর শেষ উদ্ধারকৃত লাশটি ছিল সুমন শামসের মায়ের। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় নিরাপদ নৌ চলাচলের নিশ্চয়তার দাবীতে এবং নদ-নদী দখল-দূষণ রোধে সামাজিক সংগঠন নোঙর – এর কার্যক্রম। নোঙর গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বহুবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে। নৌ নিরাপত্তা বিষয়ে দেশব্যাপী জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সমাজের সকল শ্রেণীর অংশগ্রহণে চলছে নানান কর্মকাণ্ড। গত ২৩ মে ২০১৬ বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উপস্থিতিতে নৌ নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ভাসমান সেমিনারে ২৩ মে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবী তোলেন নোঙর সভাপতি সুমন শামস, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান-কে জানানো হলে তিনি এবং উপস্থিত সবাই এই বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।[১১][১২][১৩]
- বাংলাদেশের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর জন্মবার্ষিকী : ২৫ মে
- নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস : ২৮ মে জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ
জুন[সম্পাদনা ]
- জাতীয় চা দিবস : ৪ জুন
- ছয় দফা দিবস* : ৭ জুন[১৪]
- তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে রাস্তায় নেমে আসে লাখো লাখো মানুষ। হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নিহত হোন অন্তত ১১জন। তাঁদের স্মরণে এবং জাতীয় মুক্তির স্বারকস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[১৫]
- নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস বা ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস : ১৩ জুন
- নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশব্যাপী ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত ও প্রথম পালিত হয়।[১৫]
- পলাশী দিবস : ২৩ জুন
জুলাই[সম্পাদনা]
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস : ১ জুলাই
- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।[১৬]
আগস্ট[সম্পাদনা]
- জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস: ৯ আগস্ট
- শোক দিবস : ১৫ আগস্ট
- ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে বাংলাদেশের জাতির জনক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
- দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস : ২৭ আগস্ট
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে খুলনার দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদারদের গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালানো গণহত্যায় ৬০ জন নিরপরাধ বাঙালির হত্যা উপলক্ষে পালিত দিবস।[১৭]
সেপ্টেম্বর[সম্পাদনা]
- মহান শিক্ষা দিবস : ১৭ সেপ্টেম্বর
- তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা-সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি চালু করার দাবিতে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলন দমাতে পুলিশ ঢাকার হাইকোর্ট মোড়ে গুলি চালায়। ন্যায্য দাবির জন্য এই গণহত্যার স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।[১৮]
- কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস : ১৮ সেপ্টেম্বর
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দিনে হবিগঞ্জের কৃষ্ণপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১২৭জন পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এছাড়া আশেপাশের এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে আরো প্রায় শতাধিক পুরুষকে হত্যা করে তারা।[১৮]
- প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস : ২৩ সেপ্টেম্বর
- ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মাহুতি দেন। তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্য সেনের সংস্পর্শে এসে এই সশস্ত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হোন।[১৮]
- মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস (গোপালপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার স্মরণে) : ২৯ সেপ্টেম্বর[১৯]
- কন্যা শিশু দিবস : ৩০ সেপ্টেম্বর [২০]
অক্টোবর[সম্পাদনা]
- পথশিশু দিবস বা সুবিধাবঞ্চিত শিশু দিবস :২ অক্টোবর
- জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস :২ অক্টোবর
- শিক্ষক দিবস : ৫ অক্টোবর
- জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস :৬ অক্টোবর
- জাতীয় শেখ রাসেল দিবস : ১৮ অক্টোবর
- নিরাপদ সড়ক দিবস : ২২ অক্টোবর
নভেম্বর[সম্পাদনা]
- জাতীয় সমবায় দিবস : প্রথম শনিবার
- জেলহত্যা দিবস* : ৩ নভেম্বর
- ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে। এই চার নেতা হলেন: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এই দিবসটি স্মরণ করে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালিত হয়।[২১]
- ঘটনার পরদিনই ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
- সংবিধান দিবস : ৪ নভেম্বর
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস* : ৭ নভেম্বর
- নূর হোসেন দিবস বা স্বৈরাচার বিরোধী দিবস : ১০ নভেম্বর
- সশস্ত্রবাহিনী দিবস : ২১ নভেম্বর
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশের সর্বদিক দিয়ে সামরিক বাহিনীসহ তৎকালীন বাঙালি আপামর জনতা একত্রে আক্রমণ করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদারদের উপর। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ রেখেই অতীতে বিভিন্ন দিবসে পালিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে এই দিনে পালন করা হয়।[২২]
- জাতীয় আয়কর দিবস : ৩০ নভেম্ববর
- ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই দিবস বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ডিসেম্বর[সম্পাদনা]
- মুক্তিযোদ্ধা দিবস* : ১ ডিসেম্বর এই দিনটি বেসরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন প্রতিবছর। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চেতনা পৌছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনটিকে সরকারীভাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবী জানাচ্ছেন। [২৩]
- স্বৈরাচার পতন দিবস* বা সংবিধান সংরক্ষণ দিবস : ৬ ডিসেম্বর
- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। পরবর্তীতে এরশাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি এই দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে।[২২]
- জাতীয় যুব দিবস : ৮ ডিসেম্বর[২২]
- বেগম রোকেয়া দিবস : ৯ ডিসেম্বর[২২]
- জাতীয় ভ্যাট দিবস : ১০ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস :১২ ডিসেম্বর
- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস : ১৪ ডিসেম্বর
- বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর
- বাংলা ব্লগ দিবস: ১৯ ডিসেম্বর
দিবসটি প্রথমবার পালিত হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারনেটে প্রথম বাংলা ব্লগিং-এর সূচনা হয়। মূলত ব্লগিং, বিশেষ করে বাংলায় ব্লগিং-এ আগ্রহী করতেই ব্লগাররা দিবসটি পালন করে আসছেন। জাতীয়-ও-বিশ্ব-দিবস-সমূহ