ব্রণ সমস্যা দূর করার জাদুকরী উপায়। ত্বক সমস্যার সমাধান।

যখন প্রথম আমাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় তখন আমরা আমাদের চারপাশ থেকে জানা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করি । আর এইগুলি আমাদের জন্য ভাল মনে করি যেটা আমাদের ত্বকের জন্য ভালো নাকি খারাপ আদৌ কিছু না জেনে আমরা ইউজ করতে থাকি । আর এ কারণেই ত্বকে ব্রণের অবস্থা খারাপ এর থেকেও খারাপ আকার ধারণ করেন কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এটা জানার চেষ্টা করে না । যে আসলে কেন হয় এবং এর ধরন কী কারণে ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে ।
যেমন ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস ছোট আর বড় পিপল একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন আপনার ত্বকের কালো রঙের কিন্তু তারা তা দেখা যায়নি এটাই হল ব্ল্যাক হেড অফাইস নামে পরিচিত লাইনের বাইরে অক্সিজেন এর সংস্পর্শে এসে কালো রং দূর করে আর ত্বকের অভ্যন্তরে থাকে এবং সাদা বর্ণের হয়ে থাকে । যদিও আমাদের পাবলিক হেলথের হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো কিছু ছোট আকারের স্কিনের উপর থেকে হয় আবার কিছুদিন
25 দিনের গভীরে পৌঁছে যায় এগুলো আকারে বড় জেসিবি বলা হয় যেমনই হোক না কেন যদি আপনি এই পোস্ট প্রত্যেকটা স্টেপ ফলো করেন তাহলে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
২। বেশ বড় আকারের ব্রণ।
এই ব্রণগুলো মুখের মধ্যে হলে বেশ যন্ত্রণা হয়। এই ব্র্যান্ডগুলো মুখের যেকোনো জায়গায় হতে পারে
ব্রণ সমস্যা দূর করার উপায়ঃ
১ । প্রতিদিন অন্তত দিনে চারবার জীবাণুনাশক সাবান অথবা শিশুদের ব্যবহারযোগ্য সাবান দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
এই সময় খেয়াল রাখতে হবে কাপড় কাঁচার সাবান অথবা গায়ে মাখা সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
২। প্রতিদিন সকালে সাবান দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কুসুম গরম পানির মধ্যে অল্প তুলসী পাতা বেটে মিশিয়ে দিয়ে এই গরম পানির ভাপ নিতে হবে। গরম পানি দিয়ে ভাপ নেবার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
গরম পানি দিয়ে ভাপ নিলে আমাদের লোমকূপগুলো বড় হয়ে যায় আর লোম কুপের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ময়লা আটকে যেতে পারে। তাই যেকোনো সময় গরম পানি দিয়ে মুখ ধুলে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আবার মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখের লোমকূপগুলো সংকুচিত হয়ে যাবে।
৩। ত্বকে যাদের ব্রণ হয় তাদের সবারই একটা খুব বাজে অভ্যাস হলো হাত দিয়ে ব্রণ খুঁচা ।এভাবে হাত অথবা নখ দিয়ে ব্রণ খুঁচার ফলে ত্বকের মধ্যে ব্রণ সংক্রমিত হয়ে পুরো মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ত্বকের মধ্যে ব্রণ এর ফলে যতই ব্যাথা বা যন্ত্রণা হোক না কেন হাত বা নখ দিয়ে ব্রণ খুঁচাবেন না ।
৪। ব্রণ থাকা অবস্থায় মুখের মধ্যে কোন তৈলাক্ত পদার্থ বা ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
এক্ষেত্রে শুধু ব্রণের উপযোগী ক্রিম, ফেসপ্যাক অথবা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
৫। ব্রণকে চিরতরে ত্বক হতে দূর করার জন্য শুধুমাত্র ত্বকের পরিচর্যা করা ছাড়াও আমাদের খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একত্রে এলার্জি যুক্ত খাবার, কাঁচা লবণ্, বাদাম ও চর্বিযুক্ত খাবার এবং ভাজাপোড়া খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে অর্থাৎ এসব খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে ।
আর যে খাবার খেলে নিজেদের ত্বকে ব্রণ বাড়ে বলে মনে হয় সেই খাবারগুলোও বাদ দিতে হবে।
৬। মানসিক দুশ্চিন্তা ব্রণ হওয়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী । তাই যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকবেন এবং মনকে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করবেন।
৭। এছাড়াও ব্রণ দূর করতে ত্বকের পরিচর্যার জন্য আপনারা সপ্তাহে ২বা ৩ বার ব্রণ দূর করার ফেসপ্যাক অথবা মাসে ১ বার ফেসিয়াল ব্যবহার করতে পারেন।
৮। অনেক সময় মাথার মধ্যে খুশকি হলে মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
তাই মাথার মধ্যে যেন খুশকি না হয় তার জন্য সপ্তাহে দুবার শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
টিপসগুলো অনুসরণ করার পরও যদি আপনাদের ত্বক হতে ব্রণ দূর না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে।