মোস্তাফিজুর আলোচনায় আছেন সিরিজ জয়ের ম্যাচে

বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় শাস্তি পেয়েছেন তরুণ পেসার শরীফুল ইসলাম। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করেছে আইসিসি। সেইসঙ্গে নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ম্যাচে মিচেল মার্শকে আউট করে উদযাপন করায় শরীফুল এই শাস্তি পেলেন। ডিমেরিট পয়েন্ট ২৪ মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৮তম ওভারের ঘটনা। শরিফুলকে উড়িয়ে মেরে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ দেন মার্শ। ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। মার্শকে আউট করে তাই আগ্রাসী উদযাপন শুরু করেন শরীফুল। ব্যাটসম্যানের খুব কাছে গিয়ে তিনি চিৎকার করে নাচতে থাকেন।
শরীফুলের এই আচরণ ভালো চোখে দেখেননি আম্পায়াররা। তাই ম্যাচের চার আম্পায়ার শরীফুলে বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাদের মতে, শরীফুলের আচরণ মার্শকে আগ্রাসী প্রতিক্রিয়া দেখানোয় প্ররোচিত করতে পারত। তাই শরীফুলের শাস্তি ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ। শরীফুল শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
স্বাগতম!
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ এখনো তাজা। সেটাই হওয়ার কথা। এখনো তো ২৪ ঘন্টাই পেরোয়নি। সে স্বাদ নিয়েই আজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। আলোচনায় মোস্তাফিজ এবং ব্যাটিং
প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের সম্বল নিয়ে জিতে নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছিল বাংলাদেশ। তার আগে কখনোই আগে ব্যাটিং করে এত কম রান নিয়ে জেতেনি তারা। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে করল ১২৭ রান। এবার প্রথম ম্যাচে নিজেদের রেকর্ডটা নতুন করে গড়ল তারা। আজও আগে ব্যাটিং নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ,
ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা কেমন হবে চতুর্থ ম্যাচে?
ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৯ রান, ২৪ বলে তাঁর দেওয়া রানসংখ্যা ছিল ‘বাইনারি’- মানে স্রেফ ১ আর ০-এর উপস্থিতি সেখানে। মোস্তাফিজ আগের ম্যাচে উইকেট পাননি। তবে অমন বোলিংয়ের পর উইকেটের আদতে দরকারই পড়ে না! ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বলেছেন তেমনই- মোস্তাফিজের বোলিং আসলে ৫ উইকেট পাওয়ার চেয়ে কম ছিল না কোনো অংশেই।নাটকীয় ধস সামলে প্রথম জয় অস্ট্রেলিয়ার
এদিনও শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে চতুর্থ ওভারে সাকিবের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান। মেরেছিলেন ৫ ছয়। তবে এরপরই যেন আবার থমকে গেল অস্ট্রেলিয়া। পরের ৯ ওভারে মাত্র ২৮ রান তুলতেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ৫ উইকেট। বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ।
অবশ্য ১০৪ রানের পুঁজি মানে একটা ছোটখাট ইনিংসেই শেষ হয়ে যেতে পারে সব। অ্যাশটন অ্যাগারের সমানসংখ্যক বলে ২৭ রানের ইনিংস করল সে কাজটিই। শেষদিকে শামীম হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে অ্যাগার ফিরলেও ততক্ষণে বেশ দেরীই হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
মোস্তাফিজ এদিনও ছিলেন দারুণ, ৪ ওভারে আজও ৯ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন সাকিব, ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং ফিগার তাঁর এটিই। সাকিব ছাড়া অন্য দুই নিয়মিত স্পিনার অবশ্য করেছেন আঁটসাঁট বোলিং। মেহেদী ও নাসুম- দুজনই ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৭ করে রান। মেহেদী উইকেট নিয়েছেন দুটি, নাসুম একটি।
তবে সম্বল যখন ১০৪ রান, তখন যথেষ্ট হয়নি সেসব।