রমাযান মাসের (30) টি হাদীস, মাওলানা মিজানুর রহমান। razuaman.com

রমাযান মাসের (30) টি হাদীস, মাওলানা মিজানুর রহমান। razuaman.com
১। সালমান ফারেসীর লম্বা হাদীস। যাতে আছে; ‘‘যে ব্যক্তি তাতে কেউ একটি নফল ইবাদত করবে, সে ব্যক্তি অন্য মাসে একটি ফরয আদায়ের সমান সওয়াব লাভ করবে এবং যে কেউ তাতে একটি ফরয আদায় করবে, তার অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করার সমান লাভ করবে। (এ মাসের ১টি নফল ১টি ফরয এবং ১টি ফরয ৭০টি ফরযের সমতুল্য) —এ মাসে মুমিনের রুযী বৃদ্ধি করা হয়। — এ মাসের প্রথম ভাগ রহমত, মধ্য ভাগ মাগফিরাত এবং শেষ ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্তি।—’’[2]
২। ‘‘রমাযানের প্রত্যেক রাত্রে মহান আল্লাহ ১০লক্ষ[3] ৬ লক্ষ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। এর শেষ রাতে মুক্ত করেন পূর্বে বিগত সকল সংখ্যা পরিমাণ।’’[4] অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘‘প্রত্যহ ৬০ হাজার মানুষকে মুক্ত করা হয়।’’[5]
৩। ‘‘রমাযান মাসের জন্য বেহেশ্ত্কে সুসজ্জিত করা হয়। প্রথম রাত্রে আরশের নিচে এক প্রকার হাওয়া চলে। — হুরীগণ বেহেশ্তের উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে থাকে, ‘আল্লাহর কাছে আমাদের কোন পয়গামদাতা আছে কি? যার সাথে তিনি আমাদের বিবাহ দেবেন—।’ প্রত্যহ ইফতারের সময় আল্লাহ দশ লাখ জাহান্নামীকে মুক্ত করেন। মাসের শেষ দিনে বিগত সকল সংখ্যক মানুষ মুক্ত করেন। শবেকদরের রাতে কাবার পিঠে সবুজ পতাকা গাড়া হয়।— ফিরিশ্তাগণ ইবাদতকারীদের সাথে মুসাফাহা করেন—।’’[6]
৪। ‘‘রমাযান মাসের জন্য বেহেশ্ত্কে সুসজ্জিত করা হয়। প্রথম রাত্রে আরশের নিচে বেহেশ্তের গাছ-পাতা থেকে হুরীদের উপর এক প্রকার হাওয়া চলে। তখন হুরীগণ বলে, ‘হে রবব! তোমার বান্দাগণের মধ্য হতে আমাদের স্বামী নির্বাচন কর; যাদেরকে দেখে আমাদের এবং আমাদেরকে দেখে তাদের চক্ষু শীতল হয়।’’[7]
৫। ‘‘আল্লাহ রমাযান মাসের প্রথম সকালে কোন মুসলমানকে মাফ না করে ছাড়েন না।’’[8]
হাদীস (৬-১০)
৬। রমাযানের পর শ্রেষ্ঠ রোযা, রমাযানের তা’যীমে শা’বানের রোযা এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সদকা হল রমাযানের সদকা।’’[9]
৭। ‘‘শ্রেষ্ঠ দান হল, রমাযান মাসে দান।’’[10]
৮। ‘‘আমার উম্মতকে রমাযানে পাঁচটি জিনিস দান করা হয়েছে; যা ইতিপূর্বে কোন উম্মতকে দান করা হয় নি। ইফতার করা পর্যন্ত পানির মাছ অথবা ফিরিশ্তারা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ প্রত্যেক দিন বেহেশ্ত্কে সুসজ্জিত করে থাকেন।–’’[11]
৯। ‘‘রজব মাস আগত হলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) দুআ করতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের রজব ও শা’বানে বর্কত দাও এবং রমাযান পৌঁছাও।’’[12]
১০। ‘‘রমাযান প্রবেশ করলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক বন্দীকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক যাচ্ঞাকারীকে দান করতেন।’’[13]
হাদীস (১১-১৫)
১১। ‘‘রমাযান প্রবেশ করলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রঙ বদলে যেত, তাঁর নামায বেড়ে যেত, দুআয় আকুল হতেন—’’[14]
১২। ‘‘তোমাদের কাছে বর্কতের মাস রমাযান এসে উপস্থিত হয়েছে। — আল্লাহ এ মাসে তোমাদের আপোসে প্রতিযোগিতা দেখবেন এবং তোমাদেরকে নিয়ে ফিরিশ্তাদের কাছে গর্ব করবেন।—’’[15]
১৩। ‘‘রমাযান মাসের একটি তসবীহ অন্য মাসের হাজার তসবীহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’’[16]
১৪। ‘‘রমাযান কি জিনিস তা যদি আমার উম্মত জানত, তাহলে আশা করত যে, সারা বছরটাই যেন রমাযান হোক। যে কেউ রমাযানের একটি রোযা রাখবে, তার সঙ্গে মুক্তার তাঁবুতে আয়তলোচনা একটি হুরীর সাথে বিবাহ দেওয়া হবে। —প্রত্যেক স্ত্রীর হবে ৭০টি করে ভিন্ন ভিন্ন পরিচ্ছদ। তাকে ৭০ রঙের খোশবু দান করা হবে। –’’[17]
১৫। ‘‘রমাযানের প্রথম রাত্রি এলে আল্লাহ রোযাদার সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। আর যে বান্দার প্রতি আল্লাহ দৃষ্টিপাত করেন, তিনি তাকে আযাব দেন না। রমাযানের প্রত্যেক রাত্রে তিনি ১০ লাখ জাহান্নামীকে মুক্তি দেন।—’’[18]
হাদীস (১৬-২০)
১৬। ‘‘যে ব্যক্তি মক্কায় রমাযান পেয়ে সেখানে রোযা রাখে এবং যথাসাধ্য রাতের নামায পড়ে, আল্লাহ তার জন্য অন্য জায়গার ১ লাখ মাস রমাযানের সওয়াব লিখে দেন—।’’[19]
১৭। ‘‘মক্কার একটি রমাযান অন্য জায়গার হাজার রমাযান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’’[20]
১৮। ‘‘মদ্বীনার একটি রমাযান অন্য জায়গার হাজার রমাযান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’’[21]
১৯। ‘‘তিন ব্যক্তিকে পানাহারের নিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না; ইফতারকারী, সেহরী খানে-ওয়ালা—-।’’[22]
২০। ‘‘আল্লাহ কিরামান কাতেবীনকে অহী করেছেন যে, আমার রোযাদার বান্দাদের আসরের পর কৃত কোন পাপ লিপিবদ্ধ করো না।’’[23]
২০। ‘‘আল্লাহ কিরামান কাতেবীনকে অহী করেছেন যে, আমার রোযাদার বান্দাদের আসরের পর কৃত কোন পাপ লিপিবদ্ধ করো না।’’[23]
হাদীস (২৬-৩০)
২৬। ‘‘রোযাদারের নিকট কেউ খাবার খেলে, খাবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য ফিরিশ্তাবর্গ দুআ করতে থাকেন।’’[29]
২৭। ‘‘রোযাদারের অস্থিসমূহ তসবীহ পাঠ করে, এবং যতক্ষণ তার সামনে খাওয়া হয়, ততক্ষণ ফিরিশ্তাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।’’[30]
২৮। ‘‘রোযাদারের ঘুম ইবাদত, তার নীরবতা তসবীহ এবং আমলের সওয়াব বহুগুণ।’’[31]
২৯। ‘‘রোযাদার ইবাদতে থাকে; যদিও সে বিছানায় শুয়ে থাকে।’’[32]
৩০। ‘‘রোযা রাখলে সকালে দাঁতন করো এবং বিকালে করো না। কারণ, যে রোযাদারের ঠোঁট দুটি বিকালে শুকিয়ে যায়, কিয়ামতে সেই রোযাদারের চোখের সামনে জ্যোতি হবে।’’[33]
🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩
রোজার ইতিহাস
রামাদান বা রমজান শব্দটা এসেছে আরবি মূল রামিদা বা আর রামাদ থেকে, যার মানে প্রচণ্ড উত্তাপ কিংবা শুষ্কতা। ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস হলো এই রমজান মাস। এই মাসেই বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা রোজা পালন করে থাকেন। রমজান মাসে রোজা পালন ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়। অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণ। এই মাসেই নাজিল হয়েছিল পবিত্র কুরআন। কোরআন নাজিলের রাতকে বলা হয় লাইলাতুল কদর। এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের থেকে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘দিন’। আর আরবিতে এর নাম সাওম বা সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সঙ্গে যাবতীয় ভোগ-বিলাস, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসংগম থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।
ইসলামি বিধান অনুসারে প্রতিটি সুস্থ সবল মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্য পালনীয়। বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে। কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট। আর কাফফারা আদায়ের তিনটি বিধান রয়েছে, একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে, যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে ও গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে।
বস্তুত রোজা রাখার বিধান সবযুগেই ছিল । এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’
‘সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩’
হযরত আদম (আ.)-এর রোজার ধরন কেমন ছিল তা সঠিকভাবে বলা যায় না। বলা হয়ে থাকে আদম (আ.)-এর সৃষ্টির পর তাকে ‘নিষিদ্ধ ফল’ বর্জনের যে আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ এটাই মানব ইতিহাসের প্রথম সিয়াম সাধনা। বলা হয়ে থাকে হযরত মুসা (আ.)ও ৩০ দিন রোজা রেখেছিলেন। তুর পাহাড়ে যাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা তাকে আরও অতিরিক্ত ১০টি রোজা রাখার আদেশ দেন। ফলে তার রোজা হয়েছিল মোট ৪০ দিন। হযরত ঈসা (আ.)ও মুসা (আ.)-এর মতো ৪০ দিন রোজা রাখতেন। হযরত ইদ্রিস (আ.) সারা জীবন রোজা রেখেছিলেন। হযরত দাউদ (আ.) একদিন পর পর অর্থাৎ
বছরে ছয় মাস রোজা রাখতেন।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিনদিন করে রোজা রাখার বিধান প্রচলিত ছিল। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। তাছাড়া প্রথম কবে ও কোন রোজা ফরজ করা হয়েছিল এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন, ১০ মহররম অর্থাৎ আশুরায় রোজা ফরজ ছিল, আবার কারও কারও মতে, ‘আইয়ামুল বিজ’ অর্থাৎ প্রত্যেক চন্দ্র মাসে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা ফরজ ছিল। পরে রমজানের রোজা ফরজ হলে তা বন্ধ বা রহিত হয়ে যায়।
পুরো এক মাস পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখার আদেশ অবতীর্ণ হয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের মক্কা থেকে মদিনাতে হিজরতের ১৮ মাস পরে। তখন আরবি শাবান মাস চলছিল।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে
‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে।
রংপুরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর-razuaman.com
রংপুরে সমস্ত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর তালিকা৷ ২০২২। razuaman.com
রংপুরের সেরা ডাক্তারের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ? রংপুর এর সেরা ডাক্তার কে ?
পপুলার মেডিকেল সেন্টার সিলেট ডাক্তারের তালিকা ফোন নাম্বার ও অবস্থান 2022!
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডাক্তারের তালিকা ও যোগাযোগ 2022/razuaman.com
ভিভো Y1দাম কমলো স্মার্টফোনের (সাথে ফ্রি গিফট)
Oppo A16e কালো, নীল এবং সাদা রঙে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা – razuaman.com স্বাস্থ্য
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তালিকা বরিশাল – razuaman.com
দাঁতের রোগের কি কি সমস্যা হয়? Razuaman.com
রংপুর জেলার ‘ক্লিনিক’ ও ‘ডায়াগনোস্টিক’ সেন্টার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার।