আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা ভালো আছেন আমিও ভালো আছি। থেম বিল দেখে বুঝতে পেরেছেন আজকে কি বিষয়ে পোস্ট, তো চলুন সুপ্রিয় খাদ্য কথা জানাজাক। এই সময়ে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে লাউ। লাউ শীতের সবজি হলেও এখন সারা বছরই ফলে। এই সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
চিংড়ি দিয়ে লাউ বেশ সুস্বাধু। ডাল দিয়েও খাওয়া যায় এই সবজি। আবার অনেকে টাকি মাছ দিয়ে খান। লাউয়ের ছিলাও শুঁটকি দিয়ে খাওয়া যায়। যেভাবেই খান না কেন, লাউ শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
লাউয়ের পুষ্টিগুণ-
১. লাউয়ের ৯৬ শতাংশই পানি। ফলে নিয়মিত লাউ খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়।
২. লাউ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৩. লাউয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে, যা হার্টের জন্য উপকারী।
৪. জন্ডিস ও কিডনির সমস্যায়ও খেতে পারেন লাউ।
৫. লাউয়ে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি ও প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৬. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী সবজি লাউ।
৭. লাউ রয়েছে দ্রবণীয়, অদ্রবণীয় ফাইবার ও পানি। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
৮. লাউ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
৯. লাউ পাতার তরকারি মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা রাখে, ঘুমে সমস্যার সমাধান করে ও দেহের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
১০. ইউরিন ইনফেকশনে খুব উপকারী লাউ।
শরীরে পানির অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে
শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পানির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীর তার প্রয়োজনীয় পানি না পেলে দেখা দেয় নানা রকমের রোগ। তাই তো দেহের ভিতরে যাতে পানির ঘাটতি দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক এই কারণেই ভাতের পাতে লাউ থাকা মাস্ট! আসলে এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পানি, যা দেহের ভিতরে পানির অভাব মেটাতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে
উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা যারা ভুগছেন তাদের ডায়েটে লাউ দিয়ে তৈরি কোনও না কোনও পদ থাকা বেজায় জরুরি! কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল হয়ে ওঠে। আর হার্ট যখন চাঙ্গা হয়ে ওঠে তখন সার্বিকভাবে আয়ুও যে বৃদ্ধি পায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, রাতের খাদ্যাভ্যাসের কারণে সিংহভাগ বাঙালিরই ঠিক মতো ঘুম হয় না। ফলের দিনের পর দিন এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যা ঘারে চেপে বসে। তাই আপনিও যদি এমন রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে লাউয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে দেরি করবেন না যেন! কারণ একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়ে গেছে, নিয়মিত লাউ খাওয়া শুরু করলে, বিশেষত লাউয়ের রস, অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। ফলে বিনিদ্র রাত্রি যাপনের আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো
লাউয়ে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ত্বক ভিতর থেকে স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ফলে সৌন্দর্য তো বাড়েই। সেই সঙ্গে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এই কারণেই তো প্রতিদিন লাউয়ের রস বা এই সবজিটি দিয়ে তৈরি কোনও না কোনও পদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, লাউ খাওয়া শুরু করলে আরও বেশ কিছু উপকার মেলে। যেমন ধরুন মাত্রতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সেই সঙ্গে ব্রণের মতো ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
শরীর ঠাণ্ডা করে
অনেক সময়ই শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়, যা একেবারেই ভাল নয়। তাই তো সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত লাউয়ের রস খাওয়া উচিত! আসলে এই সবজিটিতে যেমন রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পানি, তেমনি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজও, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দেহের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদেরও বার করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তেমনি দেহের ভিতরে তাপমাত্রা বা প্রাদাহ বাড়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না।
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমে
বছরের এই সময়ে পরিবেশে নানাবিধ ক্ষতিকর জীবাণুর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সংক্রমণের মতো রোগের প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়। বিশেষত মেয়েদের মধ্যে ইউরিনারি ট্রাক্ট ইফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই তো শীতের শুরুতে নিয়মিত লাইয়ের রস খাওয়া মাস্ট! কারণ যে কোনও ধরনের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাউয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, এই সবজিতে প্রচুর মাত্রায় পানি থাকার কারণে এটি খেলে প্রস্রাব খুব ভাল হয়, ফলে ‘ইউ টি আই’ এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা এমনিতেই অনেকটা কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, প্রতিদিন লাউয়ের রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে সংক্রমণের পাশপাশি ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, ওয়েদার চেঞ্জের সময় লাউয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর প্রয়োজন কতটা!
বন্ধুরা আপনারা হয়তো জানতে পেরেছেন লাউ খাওয়ার উপকারিতা আমাদের বাজারে সব সময় কিন্তু এখন লাউ পাওয়া যায় আমরা কিন্তু লাউড কেউ কেউ কম খাই বন্ধুরা লাউ আমাদের অনেকটা উপকারী দিনের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ লাউ কে বেশি পছন্দ করতেন বেশি বেশি লাউ খাইতেন লাউ বেস্ট খাদ্য ছিল বন্ধুরা আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন শেয়ার করবেন যেন সবাই পোস্টটি দেখতে পারে ধন্যবাদ । রাজু aman.com