শসা খাওয়ার উপকারিতা

শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা
১। জল শূন্যতায়
শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে শশা খুবই উপকারী। একটি শশায় প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত সতেজ করে তোলে।
২। ভিটামিনের চাহিদায়
প্রতিদিন শরীরে যে সমস্ত ভিটামিনের প্রয়োজন বেশির ভাগই শশায় আছে। ভিটামিন এ, বি ও সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শসা খাওয়ার উপকারিতা
৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
শশা ডায়াবেটিস বা সুগারের সমস্যা প্রতিরোধ করে। শশায় থাকা বিশেষ উপাদান রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে পারে।
৪। কিডনির পাথর
শশার জলীয় অংশ দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করতে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শশা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলে যেতে সহায়তা হয়। ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যার সমাধানে বেশ সাহায্য করে শশা।
৫। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
১০০ গ্রাম শশার রস খালি পেটে রোজ সকালে খালি পেটে খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসে। সকালের খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে খেতে হবে। মাসখানেক এই ভাবে খেলে উপকার পাবেন।
৬। স্মৃতিশক্তিতে
শশার রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে মস্তিস্কে ও ধমনীতে জমে থাকা প্রচুর এলডিএল হ্রাস করে। ফলে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়।
৭। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
শশায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, ম্যাগনিসিয়াম, সিলিকা, পটাসিয়াম ও আঁশপদার্থ। এগুলি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শশার উপাদান উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ দু’ই নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার করে।
৮। ওজন হ্রাসে
এতে উচ্চমাত্রায় জল থাকে। নিম্নমাত্রায় ক্যালরি থাকে। ফলে দেহের ওজন কমাতে আদর্শ এটি।
৯। হজমে
কাঁচা শশা চিবিয়ে খেলে ভালো হজম হয়। এরেপসিন নামক অ্যানজাইমের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।
১০। গেঁটেবাত
প্রচুর পরিমাণে সিলিকা থাকে এতে। গাজরের রসের সঙ্গে শশা রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। গেঁটেবাতের ব্যথা কমে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও উপশম করে।
১১। মাথাব্যথায়
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে মাথাব্যথা হয়, শরীরে অবসাদ আসে তা শশার উপাদান সমূহ যেমন – ভিটামিন বি ও সুগার এ সব দূর করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরো শশা খেলে ঘুম থেকে ওঠার পরের এই সমস্যা দূর হয়।
১২। ক্যানসারে
শশায় বিশেষ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান থাকে। এটি জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
১৩। চোখের যত্নে
শশা গোল করে কেটে চোখের পাতার ওপর রাখলে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়ায়। এমনকি চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদানও তাহকে এতে। ছানি পড়া আটকায়।
১৪। চুল ও নখের জন্য
শশায় থাকা খনিজ চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে। এ ছাড়া সালফার ও সিলিকা চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
১৫। মুখের গন্ধ
শশা দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ, টক্সিন দূর করে। নিয়মিত খেলে দুর্গন্ধ, সংক্রমণ, আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসা করে। গোল করে কেটে এক টুকরো শশা জিভের ওপরে তালুতে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখলে তা বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে মুখের জীবাণু ধ্বংস করে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করে।
১৬। দেহকলায়
সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব হলে ত্বকে শশা মাখলে ভালো ফল হয়। এতে উপস্থিত সিলিকা কার্টিলেজ, লিগামেন্টের কানেকটিভ টিস্যু গড়ে ওঠে এবং দেহকলাকে শক্তিশালী ও মজবুত করে।
১৭। রূপচর্চায়
স্বাস্থ্য রক্ষার সঙ্গে ত্বক এবং চুলের জন্যও সমানভাবে উপকারী। অ্যাগজিমা সারাতে ও আটকাতেও বিশেষ উপকারী শশা।
শসা খাওয়ার উপকারিতা
আরো দেখুন:-
- Buy iPhone 13 Pro-IPhone 13 Pro-অ্যাপল ট্রেড কিভাবে কাজ করে? How does Apple Trade In work?
- স্যামসাং গ্যালাক্সি Z Fold3 & Z Flip3 প্রি অর্ডার-razuaman.com
- ডিলিট হওয়া ছবি ও ভিডিও বের করার সহজ উপায়
- OPPO F19s রেন্ডারগুলি সম্পূর্ণ ডিজাইন নতুন? অপ্পো F19s
- ভারতের বাজারে সেরা ১০টি ফিচার ফোন খোঁজ-Best Feature Phone in India
- স্যামসাং গ্যালাক্সি A22 6GB [Galaxy A22 6GB/ [ price in Bangladesh Tk. 21,999 ]
- রেড-মিউজিক-6-স্মার্টফোন Red Magic 6 & Red Magic 6 Pro globally on April 9
- স্মার্ট ফোন লাভা নিয়ে এলো নতুন মডেলের 202
- রিয়েলমি স্মার্টফোনের দাম, জানুন Realme 8 5G, Realme C21 এবং Realme C25s
শসা খাওয়ার উপকারিতা
শেষ কথা
সম্মানিত ভিউয়াস, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। আর হ্যাঁ, আমার আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি একটু উপকৃত হন, তাহলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব। আমি প্রতিনিয়তঃ চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় আর্টিকেল লেখার। তাই আপনারা যারা আপডেট কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তারা প্রতিনিয়ত আমার সাইটকে ভিজিট করতে পারেন। আপনার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনারা কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে বলতে পারেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ আপনার বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখার । এই আশা ব্যক্ত করে আবারো সালাম দিয়ে শেষ করছি আসসালামু আলাইকুম রহমতুল্লাহ বারাকা তুহ।
🌿🌿Razuaman.com 🌿🌿