শিশুকে কী খাওয়ানো যাবে এবং কতটা পরিমাণে খাওয়ানো যাবে।

শিশুকে কী খাওয়ানো যাবে এবং কতটা পরিমাণে খাওয়ানো যাবে।

শিশুকে কী খাওয়ানো যাবে এবং কতটা পরিমাণে খাওয়ানো যাবে।

মাতৃত্বের সুখানুভূতির পাশাপাশি এমন অনেক দিক রয়েছে যা আপনাকে বিমূঢ় করে তুলতে পারে। বলা হয় যে বাচ্চাকে অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর মতো সমস্যা আর একটিও নেই, যদিও আপনার সন্তানকে সঠিক পরিমাণে দুধ খাওয়ানো এবং অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর মধ্যে তফাৎ খুবই সূক্ষ্ম।

🌿
সুখবর এই যে আমরা এর সবটাই এখানে আলোচনা করব। আপনার সদ্যজাত ছোট্ট রাজকুমার বা রাজকন্যাকে খাওয়ানোর বিষয়ে পরামর্শ পেতে এবং কোথায় কম বা বেশি খাওয়ানোর মাঝে সীমারেখা টানতে হবে তা জানতে পড়তে থাকুন।

প্রথম বছরে শিশুকে খাওয়ানো

হিসাবে আপনার অনেক কাজের মধ্যে, আপনার সন্তানকে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তিশালী এবং সুখী শিশু হিসাবে গড়ে তোলাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে খাবার আপনার শিশুর সুস্থ, সুখী ও শক্তিশালী বিকাশের জন্য জরুরি, সেটি সম্পর্কে যত্ন নেওয়া দরকার এবং সে ক্ষেত্রে কারও কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।

যাইহোক, খাবারের পরিমাণ এবং কখন কখন খাওয়াতে হবে তা খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। এই কারণে আমরা শিশুকে খাওয়ানো বিষয়ক একটি জ্ঞানগর্ভ কার্যপদ্ধতি তৈরি করেছি যা আপনি আপনার শিশুর একবছর বয়স পর্যন্ত অনুসরণ করতে পারেন।

বয়স– ০ থেকে 4 মাস–বয়সী শিশু

4 মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য, দুটি উপায় আছে; বুকের দুধ খাওয়ানো এবং পাশাপাশি ফর্মূলা খাওয়ানো। যখন বিকল্প হিসাবে কোন খাদ্যটি সেরা তা বিচার হয়নি, তখন বৃদ্ধির জন্য কতটা প্রয়োজন ও তার সময়কে বিবেচনা করা যাক।

কী খাওয়া উচিত: হয় বুকের দুধ অথবা ফর্মূলা।কতটুকু খাওয়ানো যায়: শিশুদের জন্য স্তন্যপান;

8 থেকে 10 বার অথবা চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ানোর পরিমাপ । ফর্মুলা খাওয়ানো বাচ্চাদের জন্য, প্রতিদিন 6 থেকে টি খাদ্যাংশ ।খাওয়ানোর পরামর্শ : বুকের দুধ খাওয়ানো বেছে নেওয়া মায়েদের ভালো জীবনযাত্রা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়,কারণ যা কিছুই আপনি খাবেন বা পান করবেন তা দুধের মাধ্যমে আপনার শিশুর কাছে যাবে। আপনার বাচ্চাদের যেন প্রতি 2-3 ঘন্টায় একবার খাওয়ানো হয় তা নিশ্চিত করুন।

ফর্মুলা খাওয়ানো বাচ্চাদের প্রতি 3-4 ঘন্টায় একবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

বুকের দুধ খাওয়ানো বেছে নেওয়া মা–দের বাচ্চার চাহিদা মতন খাওয়ানোর পদ্ধতির জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, বিশেষত প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে। যদিও এটি কোনো কঠোর ও দ্রুত নিয়ম নয় তবে এটি দেখা যায় যে বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুদের অন্তত 8 থেকে 10 বার খাদ্যের প্রয়োজন হয় প্রতিদিন তাদের খিদের সম্পূর্ণ পরিতৃপ্তি করতে। এছাড়াও, পুষ্টির বঞ্চনা থেকে তাদের দূরে রাখার জন্য, আপনার অমূল্য ধনকে কয়েক ঘন্টা বাদে বাদেই খাওয়াতে মনে রাখবেন। দিনে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে না খাইয়ে রাখবেন না।

যে সব মায়েরা ফর্মূলা খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হল, আপনি স্তন্যপান করানো মায়েদের থেকে, শিশুদের অতিরিক্ত খাইয়ে ফেলার বিষয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। যেহেতু বুকের দুধের চেয়ে ফরমুলা খাবার হজম করা সামান্য কঠিন, প্রতিদিন আপনার শিশুকে  6 থেকে 8 বারের বেশি না খাওয়ানো নিশ্চিত করুন এছাড়াও প্রতিদিন 3 থেকে 4 ঘন্টা বাদে বাদে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন এবং তাতেই সীমাবদ্ধ রাখুন।

যাইহোক, আপনার বাচ্চা যত বড় হবে, সে আরও বেশি ঘুমাবে। প্রকৃতপক্ষে, তৃতীয় বা চতুর্থ মাস আসলে, এটি দেখা যায় যে আহারের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে আসবে, কারণ বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর মাত্র 6 থেকে 8 বার স্তনপানের প্রয়োজন হবে। যেখানে ফরমুলা খাওয়ানো শিশুদের দিনে মাত্র 5 থেকে 6 বার খাওয়ানোর প্রয়োজন হবে, সাধারণত 4 থেকে 5 ঘন্টার অন্তরে।

বয়স– 4 থেকে 6 মাস বয়সী শিশু

এই সময়ে আপনার শিশুর অস্তিত্ব কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। আসলে, অনেকের পক্ষে এটি কৌশলপূর্ণ  হতে পারে কারণ মায়েদের বাচ্চার ডায়েটে কঠিন খাবার ঢোকানো উচিত কিনা সে সম্পর্কে নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে হয় ।

কী খাওয়ানো উচিত: বুকের দুধ এবং সহজপাচ্য কঠিন খাবারে ধীরে ধীরে নিয়ে যাওয়া।কতটুকু খাওয়ানো যায়: বুকের দুধ বা ফরমুলা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হয়, সম্ভবত 4-5 বার।খাওয়ানোর কৌশল: কঠিন খাবারে পরিচয় করানোটা বেশ কঠিন কাজ, বিশেষ করে যদি আপনার বাচ্চা খাবারের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে হয়।দানা শস্য দিয়ে শুরু করুন এবং পেষা ফল ও সবজিতে যান ।

সেইসব মায়েরা যারা বুকের দুধ খাওয়ানোতে সীমাবদ্ধ থাকতে চান , তাদের পরামর্শ দেওয়া হয় যে আপনার বাচ্চাকে দিনে 6 বারের বেশি খাবার খাওয়াবেন না। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, বুকের দুধ অনেকটাই  চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ানো হয় তাই খাওয়ানোর সংখ্যা  প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়। ফরমুলা খাওয়ানো শিশুদের ক্ষেত্রে,  প্রতিদিন 5 বারের বেশি খাবার পরিবেশন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আপনি যদি আপনার শিশুর জন্য কঠিন খাবারের প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার বাচ্চা আসলে এইরকমের খাদ্যের জন্য প্রস্তুত কনা তার লক্ষণগুলি খেয়াল করুন। শুরুতে, আপনার সোনার খাবারে আগ্রহ দেখানো শুরু করা উচিত এবং কঠিন খাবার শুরু করার জন্য কিছু সুস্থ ওজন বৃদ্ধি প্রদর্শন করা উচিত। অন্যান্য লক্ষণ হল একটি উঁচু চেয়ারে বসা এবং মাথা উঁচু করে থাকা।

কঠিন খাদ্যের পছন্দের ক্ষেত্রে শস্য দিয়ে শুরু করুন। ওটমিল এবং লোহা সম্বৃদ্ধ চাল –দনাশস্য শুরু করার জন্য চমৎকার পছন্দ। এটি করার জন্য আপনার স্বাভাবিক ফর্মুলা বা বুকের দুধের সাথে এক চামচ শুকনো শস্য মিশিয়ে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানো একটি ভাল উপায়। ফর্মুলা বা বুকের দুধ 5 থেকে 6  চা চামচের বেশি মেশানোর চেষ্টা করবেন না কারণ তাহলে শুরুতেই খুব পাতলা হয়ে যাবে। সময়ের সাথে, দুধ বা ফর্মুলা কম পরিমাণে মিশ্রিত করুন এবং দানাশস্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ঘন করে আপনার সন্তানের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করুন।

 

আরও দেখুন

Razuaman.com

Ibn Sina Uttara Doctor List & Contact

ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, উত্তরা।

জন্ডিস হবে দূর, লিভারও হবে শক্তিশালী, ৫টি পাতা চিবিয়ে খেলেই

নীলফামারী জেলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকা।

PG Hospital Dhaka Doctor List & Contact Address & Contact

Sarkari Karmachari Hospital Location Phone, Fulbaria, Dhaka

নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রংপুর | ENT specialist doctor in RangpurRangpur।

Popular Hospital Dhanmondi Dhaka Doctors List পপুলার হাসপাতাল ধানমন্ডি ডাক্তার তালিকা

National Heart Foundation Hospital & Research InstituteInstitute

ঢাকার সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা LIST OF SURGERY DOCTORS

Best Doctors and Top Surgeons in Kolkata

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *