স্বাস্থ্য

1 বছর বয়সী শিশুদের জন্য খাদ্য ধারণা

1 বছর বয়সী শিশুদের জন্য খাদ্য ধারণা

আপনার 12 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবার গুলি 1 বছরের শিশুর খাওয়ার চার্ট / খাওয়ার সময়–সীমা
বছর বয়সের জন্য সেরা শিশু খাদ্য রন্ধনপ্রণালী
খাওয়ানোর পরামর্শ

শিশুদের দাঁত ওঠার গড় বয়স হল 6-12 মাসের মধ্যে।দাঁতের সাথে সাথে নতুন শক্ত খাবার গুলিকে কামড় দেওয়ার এবং সেগুলিকে চিবানোর ক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটে।কিন্তু আপনি আপনার বাচ্চাকে ঠিক কি খাওয়াতে পারেন?

আপনার 12 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবার গুলি

আপনার 12 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবার গুলিআপনার এক বছরের শিশুর জন্য বিশেষ কোনও খাদ্য তৈরী করার ব্যাপারে কোনো চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনার পরিবারের বাকী সদস্যরা যা খায় সেও তাদের সাথে সেগুলি খেতে পারে।শুধুমাত্র খাদ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব নুনকে আপনার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।অবশ্যই,রেস্টুরেন্টের খাবার এক্ষেত্রে বাতিল করা হয়,যেহেতু সেগুলিতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে।

1.খাদ্যশস্য
সবসময় সর্বোত্তম! খাদ্যশস্য যেমন ভুট্টা ফ্লেক দুধের মধ্যে ভিজিয়ে নরম করে খেলে তা সহজে হজম হয়।যতটা বেশী সম্ভব হোলগ্রেইন খাদ্যশস্য খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

2.শসা
কাটা শসার টুকরোগুলি দিনের যেকোনো সময়ের জন্যই একটা উজ্জীবনকারী জলখাবার।আপনার বাচ্চার সুবিধার জন্য ,সবথেকে ভাল উপায় হল যেগুলিকে লম্বালম্বিভাবে কেটে ‘শশার লাঠি‘ বানান ও সেগুলিকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই–এর মত আকার দিন।যদি এটা গরমের দিন হয়,কিছু শসা সহজেই ডিহাইড্রেশনকে প্রতিরোধ করতে পারে।

3.ডাল
ডাল হল প্রোটিনে ভরপুর,যা পেশীর বিকাশে সাহায্য করে।ডাল–কারী ভাত অথবা রুটির সাথে খাওয়া যেতে পারে এবং এর মধ্যে জোরালো কোনো সুগন্ধি থাকে না।রুটিকে কামড় দেওয়ার মত ছোটো ছোটো আকারে টুকরো করে দেওয়া নিশ্চিত করুন।

4.সবজির স্যুপ
এটি আপনার এক বছর বয়সীকে খাওয়ানো খুব সহজ এবং আপনি এই স্যুপের মধ্যে যে সকল সবজিগুলিকে দেন সেগুলির সকল ভাল উপকারী গুণগুলিও এর মধ্যে থাকে।এইক্ষেত্রে,গাজরের স্যুপ হল চোখের জন্য ভীষণ ভাল এবং আলুর স্যুপে থাকে ফাইবার বা তন্তু।

5.সয়া
সম্পূর্ণ নিরামিষাশীদের জন্য সয়া বড়ি হল প্রোটিনের দ্রুত সরবরাহকারী সঠিক মানের একটি বিকল্প উৎস।রান্না করার পর এর নরম গঠন শিশুদের জন্য খাদ্য পছন্দের ক্ষেত্রে একদম আদর্শ।

6.পরটা
এটা হল পরিবারের সকলের রোজের একটা খাবার যা বাচ্চারাও সহজেই খেতে পারে।এটির সাথে সবজি অথবা পনিরের পুর দিলে সেটিকে একটি সুষম আহারে তৈরি করে।

7.চিকেন বা মুরগির মাংস
জৈব মুরগি অথবা হরমোনের চিকিৎসা মুক্ত শংসাপত্র পাওয়া মুরগির মাংস গুলি কেনার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।একটু বেশী সময় ধরে রান্না করলে মুরগির মাংসটি নরম হয়ে যায় যা আপনার টলমলকারী শিশুর জন্য ভাল একটা ধারণা।এছাড়াও জোরালো মশলাদার সুগন্ধিগুলিকে এড়িয়ে চলুন এবং রান্না করা মাংসগুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে ছিঁড়ে নিন, আপনার সন্তানকে খাওয়ানোর আগে সেগুলির হাড়গুলিকে ছাড়িয়ে সরিয়ে দিন।

8.মাছ
যখন মাছ রান্না করবেন সবসময়ে মনে রাখবেন যে,এটিকে ভাজলে এর পুষ্টিগুণগুলি হারিয়ে যায়,সেই কারণে এটা দিয়ে কারী বানানোর বিরোধিতা করা হয়।যেমন মুরগির মাংসের মত এবং এরকম আরও অনেক কিছুর জন্যই খুব সাবধান হতে হবে আপনার সন্তানকে সেগুলি খাওয়ানোর আগে সেগুলি থেকে হাড় ও কাঁটা ছাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং মাংসগুলিকে ছিঁড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে।এমনকি সামুদ্রিক মাছে যে সূক্ষ্ম কাঁটাগুলিও থাকে সেগুলিও ছোটো শিশুদের গলায় আটকে যেতে পারে।

 Popular Diagnostic Unit (1 & 2) Mirpur Doctor List & Contact October 25, 2022 Prof. Dr. Fahmida Khan (Lima) MBBS, (DMC), MCPS (OBGYN), DGO (DU), FCPS (OBGYN) Gynecology, Obstetrics Specialist & Surgeon Shaheed Suhrawardy Medical College & Hospital Chamber & Appointment Green Life Hospital, Dhaka Address: 32, Bir Uttam Shafiullah Sarak (Green Road), Dhanmondi, Dhaka Visiting Hour: 7pm to 9pm (Closed: Friday) Appointment: 10653 Gynecologist in Dhaka October 25, 2022  চট্টগ্রাম টু চাঁদপুর ট্রেনের সময়সূচি  October 25, 2022 সান্তাহার টু লালমনিরহাট ট্রেনের সময়সূচী, সান্তাহার টু লালমনিরহাট ট্রেনের সময়সূচী October 25, 2022 ৫ মিনিটে মাথা ব্যাথা দূর  মাথা ব্যাথা দূর ৫ মিনিটে

স্বাস্থ্যকর খাওয়ার টিপস

খাবার সময়কে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করে তুলতে, রঙিন প্লেট, বাসনপত্র, সঙ্গীত, বাচ্চাদের পার্টি ইত্যাদি ব্যবহার করুন । আপনি মাঝে মাঝে বাচ্চাকে পার্কে নিয়ে গিয়ে পিকনিকের মতো খাওয়াতে পারেন ।

খাওয়ানোর সময় তাড়াহুড়ো করবেন না । ধৈর্য রাখুন এবং, যদি দরকার পরে, পরিবারের অন্য সদস্যকে বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য সময় কাটাতে দিন । এটা তাদের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং আপনার থেকে কিছুটা চাপ কমবে, যাতে আপনি অন্য কাজ করতে পারেন ।

অনেক সময়, বাচ্চারা খেতে চায় না; রেগে যাবেন না বা জোর করে খাওয়াবেন না । ধৈর্যই হল চাবিকাঠি; আপনি অন্য কোন দিন বা অন্য কোন উপায়ে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন ।

বাচ্চাদের তৈরি হতে পারা অ্যালার্জির উপর নজর রাখুন । বাদাম, গ্লুটেন, মাছ বা ল্যাক্টোজে অসহিষ্ণু হতে পারে ।

খাবারের সময় নির্দিষ্ট করুন, যাতে শিশুর শারীরিক চক্র সেই অনুসারেই নির্দিষ্ট হবে । খাবার সময়গুলির মাঝে খাওয়াবেন না ।

অত্যাধিক খওয়া এমনকি কম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত ।
বাচ্চাদের জন্য বাড়িতে তৈরি খাবার প্রদান করুন; ভ্রমণকালে, জাঙ্কফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে ফলের মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলিই বাছুন ।

শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে, খাবারের বিকল্পগুলি বেছে নেওয়ার জন্য এবং রান্নায় আপনাকে সাহায্য করার জন্য তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্তর্ভুক্ত করুন । যদি খাবার বাছাই করতে এবং তৈরি করতে সাহায্য করলে, তারা খাওয়ার ব্যাপারটিকে আরও ভালোভাবে গ্রহণ করবে ।

তাদের প্রিয় খাবারগুলির সঙ্গে সাপ্তাহিক অন্তরে নতুন নতুন খাবার যোগ করুন । নতুন কিছু চেষ্টা করার সময় তাদের প্রশংসা করুন ।

মনে রাখবেন যে, বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস বজায় রাখা, ওজনের দিকে লক্ষ্য রাখার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।

যদি আপনার শিশু স্বাস্থ্যকর ও পূর্ণ খাবার খায়, তারা ঠিকই তাদের সঠিক সুস্থ ওজন অর্জন করবে । অত্যাধিক খাওয়া অথবা খুব কম খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন, কারণ এটি শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে ।

উপরের টিপস ও খাবার গুলির চেষ্টা করার পরেও যদি আপনি আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন । তিনি পরিস্থিতির মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে শিশুদের জন্য ওজন বৃদ্ধির সম্পূরক নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন ।

আরও দেখুন :

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *