সিআইডির হেফাজতে জাপানি নাগরিকের সন্তান, জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানোর।

জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানোর।

জাপানি নাগরিকের সেই দুই সন্তান এখন সিআইডির হেফাজতে  রয়েছে।  এরিকো নাকানোর করা রিটের জের ধরে দুই মেয়েসহ তার স্বামীকে সিআইডির জিম্মায় আনা হয়।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরানের সাথে মুসলিম আইনে বিয়ে হয় জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানোর। তাদের বিয়ের হলফনামায় দেখা যায়, ২০০৮ সালের ১২ জুলাই জাপানের টোকিও মসজিদে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় একযুগের সাংসারিক জীবনে তাদের ঘরে জন্ম নেয় তিন কন্যা সন্তান।

জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানোর।

বাবা নাকি মা,  সন্তানরা কার কাছে থাকবে তার সমাধান করতে আজ সোমবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে । ৩১ আগস্ট আদালতে তোলার নির্দেশনা থাকলেও সাত দিন আগেই কেন তোলা হবে সেই প্রশ্নের উত্তরে সিআইডি বলছে, সময়মতো আদালতে হাজির হবেন না বলে তথ্য ছিলো সিআইডির কাছে।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। পরে ছোট মেয়েকে তার মায়ের কাছে রেখে ১০ ও ১১ বছরের বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে ইমরান।

নিজের সন্তানকে ফেরত নিতে এরপর বাংলাদেশে আসেন ৪৬ বছর বয়সী এরিকো। ঢাকায় এসে উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। আদালত ৩১ আগস্ট দুই সন্তানসহ ইমরানকে হাজির করার নির্দেশ দেন গুলশান ও আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। তবে নিদির্ষ্ট সময়ের সাত দিন আগেই ইমরান ও তার দুই সন্তানকে সিআইডির সদর দপ্তরে আনা হয়।

আপাতত দুই শিশুকে ভিকটিম সেন্টারে রাখা হবে বলে জানান সিআইডির কর্মকর্তা। সিআইডি কার্যালয়ে শিশুরা জানিয়েছেন, বাবার সাথেই থাকতে চান তারা। তবে শিশু দুটি শেষ পর্যন্ত কার কাছে থাকবে সেই সিদ্ধান্ত আদালত দেবেন বলেও জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আসছে নতুন আইন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগাম টানতে যাচ্ছে সরকার। গুজব ও রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণা ও নানাবিধ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এই আইন তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলছেন চলমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও শীঘ্রই আসছে পরিবর্তন। তবে এই আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতাকে খর্ব না করে জনকল্যাণের জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যা এখন বিশ্বের প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন মানুষের প্রতিদিনের রুটিন। ফ্রিজের মত একটু পর পর খুলে দেখতে ইচ্ছে করা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন বিনোদনের, তেমনি সাইবার অপরাধের চারণ ভূমিও বলা চলে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনের উপর গবেষণা শেষে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর লাগাম টানতে ডেটা প্রাইভেসি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ। গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ডেটা অফিস দেশে প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহিতা ও তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিদেশের মাটিতে থাকা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনাসহ  থাকছে আরও কঠোর আইন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলছেরাষ্ট্র বিরোধী প্রচার প্রচারনা, গুজব, ধর্মীয় উস্কানি, যৌন হয়রানি কি ঘটছে না এখানে। এক কথায় অপরাধী পেয়েছে ক্রসবর্ডার অপরাধের সুযোগ, শুধুমাত্র এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কোন জবাবদিহিতা না থাকায় অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরেও হচ্ছে না সুরাহা।ন, জনগনের তথ্য সুরক্ষায় দেশের প্রচলিত ডিজটাল নিরাপত্তা আইনেও আসবে সংশোধন।

এদিকে, জনগনের বাক স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রেখে এমন আইন করা গেলে দেশের মানুষের সাইবার জগৎ আরো নিরাপদ হবে বলে মনে করেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

অষ্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের যেমন নিজেদের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় নিরাত্তার কথা মাথায় রেখে তথ্যকে সুরক্ষিত করেছে একইভাবে বাংলাদেশও সুরক্ষিত করতে চায় জনগণের তথ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *