চলতি সপ্তাহ থেকে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাবগুলো তাদের স্টেডিয়ামে শতভাগ দর্শকের উপস্থিতির অনুমতি পাবে বলে স্প্যানিশ ইন্টার-টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (সিআইএসএসএস) ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার থেকে স্প্যানিশ সরকার কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় স্টেডিয়ামগুলোর জন্য এখন দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।
স্পেনের কোভিড-১৯ বিবেচনায় সিআইএসএনএস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মিলে লা লিগা, বাস্কেটবল ও অন্যান্য ইভেন্টে আউটডোরে শতভাগ ও ইনডোরে ৮০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এই ঘোষণা অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি পুনরায় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও অন্যান্য প্রোটোকল যেমন মাস্ক পরিধান করা, একে অপরের সঙ্গে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখা পূর্বের নিয়মানুযায়ী চলবে।
স্পেনের প্রতিটি রাজ্য এ ব্যপারে তাদের মত দিয়েছে বলেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও বার্সেলোনা ও এস্পানিয়ল বুধবার জানিয়েছে তারা স্টেডিয়ামগুলো এখনো ৬০ শতাংশ দর্শকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে। এছাড়া আরো তিনটি ক্লাব এ্যাথলেটিক বিলবাও, আলাভেস ও রিয়াল সোসিয়েদাদও বর্তমানের ৬০ শতাংশ উপস্থিতিই বজায় রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
নেইমারে চেপে উড়ছে ব্রাজিল

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দারুণ সময় যাচ্ছে ব্রাজিলের। নেইমারে চেপে উড়ছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আরও একটি জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি। তারকা ফরোয়ার্ড নেইমারের নৈপুণ্যতা পেরুকে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো সেলেসাওরা।
এই ম্যাচে ব্রাজিলের জয়ের নায়ক নেইমার। নিজে একটি গোল করেছেন, আরেকটি গোলে রেখেছেন অবদান। এর ফলে আট ম্যাচের সবকয়টিতেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে ব্রাজিলের সাও লোরেনিয়ার অ্যারেনা পার্নামবুকো স্টেডিয়ামে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছে ব্রাজিল। নেইমারের সহযোগিতায় প্রথম গোলটি করেন চিলির বিপক্ষে একমাত্র গোলদাতা এভারটন রিভেইরো। প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে লিড দ্বিগুণ করেন দেন নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে এটি তার ৬৯তম গোল।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন এভারটন। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান তিনি। পেরুর গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে হাত ছোঁয়ালেও বলকে জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেনি। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও নষ্ট করে স্বাগতিকরা।