স্বাস্থ্য

আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা? আমলকি কেন খাব? Rules and benefits of eating amalaki?

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রায় সবাই নজর দিয়েছেন। তাজা ফল বা শাকসবজির সাথে মাল্টিভিটামিন ওষুধ খাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। আর এত সব ভিটামিন যদি একটাতেই পেয়ে যান সেটা কেমন হয়? আমলকিতে অসংখ্য ভিটামিন বিদ্যমান। তবে এসব ভিটামিন পেতে হলে আমলকি খেতে হবে নিয়ম মেনে।

খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আমলকি মিশ্রিত পানি সকালে খালি পেটে পান করুন। পরে আমলকির টুকরোগুলোও খেয়ে ফেলুন।

উপকারিতা

  • আমলকির ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
  • এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে দূষণমুক্ত করবে। বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা ও মেদ কমবে।
  • ত্বকের ভাঁজ, কালো দাগ, ব্রণ এর সমস্যা সমাধান হবে।

এই পদ্ধতিতে আমলকি খেলে চুল উজ্জ্বল, ঘন এবং স্বাস্থ্যকর হবে।

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

এছাড়া নতুন চুল গজাতে (Grow hair naturally) এবং চুলের বৃদ্ধিতে জুড়ি নেই এই ফলটির । শীতের মৌসুমে আমলকি বেশ উপকারী। ভিটামিন, খনিজ জাতীয় বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আমলকি এই সময় বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। শীতে আমলকির কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে।

শীতের মৌসুমে আমলকি বেশ উপকারী। ভিটামিন, খনিজ জাতীয় বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আমলকি এই সময় বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। শীতে আমলকির কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে।

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

আমলকির উপকার কি কি:

  • আমলকি আমাদের পাচনতন্ত্র এবং কিডনি সুস্থ রাখে।
  • শীতের সকালে আমলাকি খেলে আপনি সারা বছর সুস্থ থাকবেন।
  • আমলাকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি প্রতিদিন মধুর সাথে আমলকির রস খান তবে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
  • আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি নতুন চুল গজাতে ও চুল দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করে । এছাড়া আমলকির রস চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুলকে খুশকিমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
  • আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
  • আমলকি হৃদরোগের জন্য ভাল। হার্টকে সুস্থ রাখতে শীতে প্রতিদিন আমলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটির সাহায্যে আপনার হৃদয়ের পেশী শক্তিশালী হবে, যার মাধ্যমে হৃদরোগীর শরীরে পরিষ্কার রক্ত ​​সরবরাহ করতে সক্ষম হবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।
  • শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *