স্বাস্থ্য

কী কী খাবার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে

এ ছাড়া ব্রুকলি, ফুলকপি, গাজরেও প্রচুর ফলেট ও ক্যারটিনয়েড আছে, যা মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম করে তোলে ।  সামুদ্রিক মাছের তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাট আছে, যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী । নানা রকমের বাদাম যেমন আখরোট, চিনাবাদাম ও কাজুবাদামে আছে মেগা ৩, ওমেগা ৬ ফ্যাট, ভিটামিন বি ৬ এবং ভিটামিন ই। এগুলো স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে
স্বাস্থ্যকর খাওয়া শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না, এটি মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখে। মাঝে মাঝে, আপনি কিছু চিন্তা করে বেডরুম থেকে রান্নাঘরে যান। কিন্তু আপনি রান্নাঘরে গিয়ে ভুলে গেলেন আপনি কি জন্য এসেছিলেন?

এখানে এমন কিছু খাবার দেওয়া হল যা দেখে নিতে পারেন। তারা কি?

মাছ:-

তৈলাক্ত মাছ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে উপকারী। মাছ যেমন সালমন, সার্ডিন, টুনা, ম্যাকেরেল ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া উচিত।

মাছের চর্বি:-

মাছের চর্বিতে রয়েছে ওমেগা-fat ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মাছ শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সালমন এবং টুনা ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের সেরা উৎস।

 

ভালোবাসা দিবসের ছবি New Pic download

কান্নার পিকচার ডাউনলোড

মাকে নিয়ে উক্তি

 

টমেটো:-

টমেটো স্মৃতি সচল রাখতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন, যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত খাবারের সাথে সালাদ হিসেবে টমেটো খাওয়া মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী।

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার।:-

ভিটামিন বি, বি 6, বি 12 সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়া দরকার। এতে মাছ, মুরগি, ডিম এবং শাকসবজি বেশি থাকে।

শস্য খাদ্য।

সিরিয়াল, বাদাম, ব্রকলি, কুমড়োর বীজ মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এই কারণে, আপনার নিয়মিত ডায়েট চার্টে এগুলির আরও বেশি রাখা উচিত।

কাটবাদাম।

বাদাম একটি চমৎকার আয়ুর্বেদিক উপাদান। এটি স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্যও ভালো।

যা করতে হবে

  • সারারাত 5 থেকে 10 আখরোট ভিজিয়ে রাখুন।
  • পরদিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে পিষে নিন।
  • এক গ্লাস দুধে এই গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
  • স্বাদ বাড়াতে একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
  • প্রতিদিন 30 থেকে 40 দিনের জন্য এটি খান।

মধু এবং দারুচিনি।:-

মধু এবং দারুচিনি স্নায়ু শিথিল করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে নাকের একটু কাছাকাছি দারুচিনি শুঁকলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়, যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বাড়ায়।

অনেকে এটাও বলেন যে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মানসিক চাপ কমে; ঘুমও সাহায্য করে। এটি স্মৃতিগুলিকে সুসংহত করতেও ভূমিকা রাখে।

যা করতে হবে

  • এক চা চামচ কাঁচা মধুর মধ্যে এক চিমটি দারুচিনি মিশিয়ে নিন।
  • কয়েক মাস ধরে প্রতি রাতে এটি খান।

ডিম:

যেকোনো পুষ্টিবিদ আপনাকে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। ডিমের পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলিন (দ্রবণীয় পুষ্টি), যা মস্তিষ্কের জন্য অপরিহার্য। এটি ভাল কাজ করে, বিশেষ করে ক্ষণস্থায়ী মেমরির ক্ষেত্রে।

সূর্যমুখীর বীজ:

এই বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকে, যা স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা মসৃণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স্কদের স্মৃতি রক্ষায় সূর্যমুখীর বীজও ত্রাতা হিসেবে কাজ করে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলিন রয়েছে, যা স্বল্পমেয়াদী স্মৃতির ঘাটতি পূরণে কাজ করে।

বেরি

স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং ব্লুবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের সংকেত পাঠানোর উপায়কে শক্তিশালী করে। বেরি মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু এবং প্রদাহ রোধ করে। বলা বাহুল্য, বেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ডিমেনশিয়া এবং আল্জ্হেইমের রোগ দেরিতে সাহায্য করে।

পালং শাক

শাকসবজি শরীর গঠনের খাবার হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া সবজিতে রয়েছে লুটেইন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি জ্ঞানীয় (জ্ঞান অর্জন এবং চিন্তা করার ক্ষমতা) পতন রোধ করে। Lutein মস্তিষ্কের প্রধান কাজ বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি মেমরি এবং শেখার ক্ষমতা বিকাশ।

বিট রুট

এই মেরুন সবজি নাইট্রেটের সর্বোত্তম উৎস, যা মস্তিষ্কে রক্ত ​​সরবরাহের উন্নতি করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। ডিমেনশিয়া রোগীদের মস্তিষ্কে রক্ত ​​চলাচল স্বাভাবিক করে।

দানা

গোটা শস্য সারা শরীরে রক্ত ​​সরবরাহ বাড়ায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

কালো চকলেট:-

এতে প্রাকৃতিক উদ্দীপক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পরিমিত পরিমাণে চকলেট খাওয়া আপনার মস্তিষ্ক এবং মেজাজ স্বাভাবিক রাখতে এতে ক্যাফিন থাকবে।

বয়স বাড়লে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি।  কিন্তু এই ভুলে যাওয়া যখন গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম বলে। নানা কারণে স্মৃতিভ্রংশ রোগ হতে পারে।

যেমন:

অ্যালঝেইমার ডিজিজ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি। গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়ী।  স্মৃতিভ্রংশ রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *