ইসলাম

কেয়ামতের ১০ টি আলামত প্রকাশ পেয়েছে?razuaman

ঈসা আলাই সাল্লাম কে যেভাবে হত্যা করবেন নবী করিম সাঃ দাজ্জাল আসার আগে আরও বেশ কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন।  তিনি বলেন দাজ্জাল আসার আগে ইসরাইলের লুদ নামে একটি শহর হবে যেখানে বিশাল একটা গেট নির্মাণ করা হবে। দাজ্জাল এর জন্য উল্লেখ্য যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এখানে সরাসরি ইসরাইলের নাম উল্লেখ করেননি বর্তমানে সেখানে  একটি শহর আছে আর বিশাল একটি  গেটে লেখা আছে ।

এখানে আমাদের শান্তির দূত প্রবেশ করবেন অর্থাৎ প্রবেশ করবে তাকে প্রভু দাবী করবে এর জন্য যথেষ্ট শক্তি প্রদর্শন করবে তাই যারা দুর্বল ঈমানের অধিকারী তারা তাকে মেনে নেবে । সে 40 দিন অবস্থান করবে তার 40 দিন আসলে কতদিন হবে তা বিভিন্ন বিভিন্ন রকম নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন দুনিয়াতে অবস্থান করবে 40 দিনপ্রথম দিন হবে এক বছরের সমান।  দ্বিতীয় দিন হবে এক মাসের সমান, আর তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান গুলো সাধারণ দিনের মতোই হবে ।

 নবীজী সাঃ বলেছেন যখন তাকে কেউ মানবে না তখন তার সাথে দুনিয়ার যা কিছু আছে সব চলে যাবে একজন সাহাবী বললেন না তাহলে কি খেয়ে বেঁচে থাকবে নবী সাল্লাহু সাল্লাম বললেন তখন তাদের পেট ভরে যাবে মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন আমিন।

ইমাম মাহদী ঈসা আলাই সাল্লাম এর আগমন ঘটবে কারণ এই সময়ে সঠিকভাবে ইমাম মাহাদী ফজরের আযানের পর নামাজ পড়ানো শুরু করবে এমন সময় ঈসা আলাই সাল্লাম দুইজন ফেরেশতা কাজের উপর ভর করে দামেস্কের সাদ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নামবেন।

তারপরও ইমাম মাহাদী বলবে আমি এখন আমি শেষ নবীর উম্মত ইমাম মাহাদী নামাজ পড়াবে নামাজ শেষে ইমাম মাহাদী বলবেন আপনি তাকে হত্যা করুন যারা আমাদেরকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে।  বলবেন হত্যা করার জন্যই আল্লাহ তাআলা আমাকে পাঠিয়েছে তারপর তিনি আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমস্ত মানুষের কানে বাজতে থাকবে দাজ্জাল আসবে যেখানে এসে গেছে বাঁচার জন্য উপায় খুজবে।

পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, আমরা ততোই কেয়ামতের নিকটবর্তী হচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (সা.) তার হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে কিয়ামতের অনেক নিদর্শনের বর্ণনা দিয়েছেন।

তন্মধ্যে বেশ কিছু নিদর্শন ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে বলে অনেক স্কলার বলছেন। এর দ্বারা এটিই প্রতিভাত হচ্ছে যে, কেয়ামত অতিনিকটে চলে এসেছে।

দিন যতই সামনের দিকে এগোচ্ছে, নবীজির (সা.) বলে যাওয়া নিদর্শনগুলো ততই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এখানে তার বলে যাওয়া এমন ১০টি নিদর্শন তুলে ধরা হলো—

১. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার পরে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ইরাকে ফিতনা সৃষ্টি হবে। নবীজির (সা.) এ ভবিষ্যদ্বাণী আজ সত্যে পরিণত হয়েছে।

২. নবীজি (সা.) বলেন, তাবুকের যে স্থানটিতে কূপ রয়েছে, সেটি কিয়ামতের আগে ফুলে-ফলে ভরে উঠবে। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাবুকের ওই স্থানটি রীতিমতো বাগানে পরিণত হয়েছে।

৩. তিনি আরও বলেন, লোকেরা এত পরিমাণ সম্পদশালী হয়ে উঠবে যে, কেউই জাকাত গ্রহণ করতে চাইবে না।  আজ এর সত্যতা আমাদের কাছে স্পষ্ট।

৪. অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠাণ্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে দেখা দেবে; এতে করে মাঠঘাট ফসলহীন হয়ে পড়বে। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের উৎপাদন কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

৫. আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষের মধ্য থেকে যখন আমানতদারিতা উঠে যাবে, তখন তোমরা কিয়ামতের অপেক্ষায় থাকো। এর অর্থ হলো— সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী থেকে আমানতদারিতা দূর হয়ে যাবে। আর বর্তমানে ধোঁকাবাজি, প্রতারণা ও চুরি-চামারি এত পরিমাণ বেড়ে গেছে যে, পৃথিবীতে আমানতদারিতা নেই বললেই চলে।

৬. একটা সময় আসবে যখন পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধানগণ বলতেই পারবে না যে, ইরাক আসলে কোথায় আছে।

(এখানে ভৌগলিকভাবে ইরাকের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়নি। বরং এখানে বোঝানো হয়েছে, একটা সময় আসবে যখন অমানবিক জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ইরাকের অধিবাসীরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেবে (যার প্রমাণ আমাদের কাছে স্পষ্ট। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি, ইরাকের অধিবাসীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অন্যান্য দেশে রিফিউজি হিসেবে বসবাস করছে), ফলে ইরাক কার্যত জনশুন্য হয়ে পড়বে। অথচ বিশ্ব মোড়লরা ইরাকের উপর করা এই আক্রমণ ও জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারে একেবারে চুপ থাকবে; কেমন যেনো তারা জানেই না বা বেমালুম ভুলে গেছে যে, ইরাক নামে আদৌ কোনো ভুখণ্ড ছিলো অথবা আছে।)

৭. চতুর্দিক থেকে ইসলামের ওপর এত পরিমাণ হামলা আসবে, যেভাবে নেকড়ের দল শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

৮. লোকেরা ব্যাপকভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে; তবে তারা স্বীকার করবে, এটি একটি গর্হিত কাজ।

৯. লোকেরা কাজকর্মে  হালাল-হারামের তোয়াক্কা করবে না। সুদের চর্চা সমাজে অধিক পরিমাণে ব্যাপৃত হবে।

১০. লোকেরা ষাঁড়ের লেজের ন্যায় এক ধরনের চাবুক (লাঠি) ব্যবহার করবে; এবং তা দ্বারা একে অপরকে প্রহার করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *