স্বাস্থ্য

জন্ডিসের লক্ষণ, চিকিত্‌সা এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন … জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় সাইট ভিজিটর ভাই ও বোনদেরকে জানাই আমাদের সাইটের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। আপনাদেরকে আমি একটা স্পেশাল টিপস দিতে চাই সে টিপসটি হচ্ছে । স্বাস্থ্য বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষ বেশিরভাগ শ্রম দিতে পছন্দ করি তাই আমাদের শ্রম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ও দুর্বল হয়ে পড়ে যায় । এমন এক সময় দুর্বল হয়ে পড়ে যায় বিভিন্ন রোগ আমাদের শরীরে চেপে বসে। তার ভিতরে একটি রোগ হচ্ছে জন্ডিস জন্ডিস এমন একটি রোগ শরীর পুরো শরীরটাকে ডেমেজ করে দেয় । এবং হলুদ রঙ্গের মোত হয়ে যায় ।

জন্ডিসের লক্ষণ, চিকিত্‌সা এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন ... জেনে নিন

বেশিরভাগ মানুষ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায় । সেইসব ভাইদেরকে বলতেছি আপনারা আমাদের এই সাইটে পোস্ট ফলো করবেন কিভাবে জন্ডিস থেকে বাচা যায় । কি কারনে জন্ডিস হয় এবং কি খেলে জন্ডিস তাড়াতাড়ি ভালো হয় । সেসব বিষয় আমাদের সাইটে নিচে

শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেই আমরা জন্ডিসে আক্রান্ত হই। বিলিরুবিন এমন একটা পদার্থ, যা আমাদের শরীরে রক্তচলাচল ব্যবস্থাতে প্রভাব ফেলে, ক্ষতিগ্রস্থ করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে আমাদের চোখ এবং ত্বক স্বাভাবিক রং হারিয়ে ক্রমশ হলুদ হয়ে যায়। যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও সময়ে জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি সদ্যোজাতরাও এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে প্রি-ম্যাচিওর শিশুরা। কীভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনি বা আপনার প্রিয়জন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন? জেনে নিন জন্ডিসের লক্ষণ, চিকিত্‌সা এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন-

জন্ডিসের লক্ষণ, চিকিত্‌সা এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন.. জেনে নিন

ওয়েব ডেস্ক: শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেই আমরা জন্ডিসে আক্রান্ত হই। বিলিরুবিন এমন একটা পদার্থ, যা আমাদের শরীরে রক্তচলাচল ব্যবস্থাতে প্রভাব ফেলে, ক্ষতিগ্রস্থ করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে আমাদের চোখ এবং ত্বক স্বাভাবিক রং হারিয়ে ক্রমশ হলুদ হয়ে যায়। যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও সময়ে জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি সদ্যোজাতরাও এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে প্রি-ম্যাচিওর শিশুরা। কীভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনি বা আপনার প্রিয়জন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন? জেনে নিন জন্ডিসের লক্ষণ, চিকিত্‌সা এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন-

জন্ডিসের কারণ


রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। সাধারণত লিভারের রোগই জন্ডিসের প্রধান কারণ। আমরা যা কিছু খাই তা লিভারেই প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার বিভিন্ন কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই জন্ডিসের প্রধান কারণ এই হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলো। উন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত মধ্যপান জন্ডিসের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

এ ছাড়াও অটোইমিউন লিভার ডিজিজ, বংশগত কারণসহ আরও নানান ধরনের লিভার রোগেও জন্ডিস হতে পারে। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও অনেক সময় জন্ডিস হয়। তা ছাড়া থ্যালাসিমিয়া ও হিমোগ্লোবিন ই-ডিজিজের মত যেসকল রোগে রক্ত ভেঙ্গে যায় কিংবা পিত্তনালীর পাথর অথবা টিউমার হলে জন্ডিস হতে পারে। আবার লিভার বা অন্য কোথাও ক্যান্সার হলেও জন্ডিস হতে পারে। জন্ডিস মানেই লিভারের রোগ এমনটি ভাবা তাই একেবারেই ঠিক নয়।

জন্ডিসের লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ


জন্ডিসের প্রধান লক্ষণ হল চোখ ও প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া আবার সমস্যা বেশি হলে পুরো শরীর গাঢ় হলুদবর্ণ ধারণ করতে পারে।
শারীরিক দুর্বলতা।
ক্ষুধামন্দা।
জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপানি দিয়ে জ্বর আসা।
বমি বমি ভাব অথবা বমি।
মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা।
অনেকসময় পায়খানা সাদা হয়ে যাওয়া।
চুলকানি।
যকৃত শক্ত হয়ে যাওয়া।

সাবধানতা


রোগীকে বাইরের খাবার সব সময় পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে খুব সাবধান থাকতে হবে পানির ক্ষেত্রে। জন্ডিস থাক বা না থাক, না ফুটিয়ে পানি পান করা যাবে না। বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে ফুচকা, চটপটি, বোরহানি আর সালাদের ব্যাপারে। কারণ, হেপাটাইটিস এ বা ই-এর মতো পানিবাহিত ভাইরাসগুলো এসবের মাধ্যমেই ছড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের খুব সাবধান থাকা উচিত। এ সময় মায়েরা প্রায়ই বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন। আর গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসে যদি হেপাটাইটিস ই হয়, তবে তা থেকে মা ও গর্ভের শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি।

জন্ডিসের চিকিৎসাঃ


ভাইরাল হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হেপাটাইটিসের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে। ভাইরাল হেপাটাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণরুপে সেরে যায়। এ সময় ব্যথার ওষুধ যেমন, প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এ সময়ে মরফিন কিংবা ঘুমের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অ্যালকোহলে আসক্তরা অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। জন্ডিস হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই সেবন করা ঠিক হবে না।

আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের যদি ভালো লাগে থাকে তাহলে আপনারা কমেন্ট করুন । শেয়ার করুন এবং আমাদের সাইটের সাথে থাকুন আমাদের প্রতিটি পোস্ট আপনারা শেয়ার করবেন । অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিবেন   আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *