সংবাদ

রাশিয়ার হামলার ফলাফল । ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ২০২২।

রাশিয়ার হামলার ফলাফল । ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা  ২০২২।

 

ইউক্রেন–রাশিয়া ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে সংকটময় পরিস্থিতিতে ইউরোপ। সম্প্রতি রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একতরফা এ ঘোষণায় সংকট যখন আরও ঘনীভূত হয়েছে, তখনই দেশটিতে হামলা শুরু করেছেন পুতিন। রাশিয়ার হামলার মুখে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করেছে ইউক্রেন।

 

আগ্রাসন শুরুর পর এক দিনেই ইউক্রেনজুড়ে হামলার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে মস্কো। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দিনেই ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো। রুশ সেনাদের দখলে গেছে কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থিত আন্তোনভ বিমানবন্দর ও চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও। দিনভর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দুই পক্ষেই। বেসামরিক লোকজনেরও প্রাণহানি হয়েছে।

 

ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণার পর এরই মধ্যে নানা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। হামলার পর প্রথম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আনছে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার এই হামলার প্রভাব নানামুখী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

 

হামলার মূল লক্ষ্য

 

রাশিয়ার হামলার মূল লক্ষ্য হতে পারে ইউক্রেন সরকারকে দ্রুত আত্মসমর্পণ করানো ও সেখানকার নির্বাচিত নেতাদের ‘নিষ্ক্রিয়’ করে দেওয়া। লক্ষ্য অর্জনে রুশ বাহিনী হামলা করতে পারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, পার্লামেন্ট ভবন, মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রপন্থী বিপ্লবের প্রতীক মেইডান নেজালেঝনোস্তিতে।

 

ক্ষয়ক্ষতি কেমন হবে

 

ইউক্রেনে কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা হামলায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদে চললে এ সংখ্যা বাড়তে পারে। ইউরোপে চলমান শরণার্থী সংকটের মধ্যে এই সংঘাতে বাস্তুহারা হতে পারে লাখো মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার মতো ব্যপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাসায়নিক অস্ত্রের মাধ্যমে নৃশংসতা চালানোর বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ‘ভয়াবহ’ দুর্দশা দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা।

 

ক্রেমলিনের আগ্রাসন–পরবর্তী সম্ভাব্য নীলনকশা

 

পশ্চিমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে ও রাশিয়ার ছড়ির আগায় ঘুরবে—প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুর্বল ও পরনির্ভরশীল এমনই একটি ইউক্রেন চান পুতিন। বেলারুশে এই অবস্থা চলছে। নির্বাচনে কারচুপি ও বিরোধীদের দমন করে তিনি কিয়েভে মস্কোপন্থী রাজনীতিকদের ক্ষমতায় বসাবেন বলেও ধারণা করা যাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, গ্রেপ্তার অথবা হত্যার জন্য চিহ্নিত করে ইউক্রেনে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের একটি তালিকা পাঠিয়েছে ক্রেমলিন।

 

 

পশ্চিমারা কী করবে

 

মার্কিন সেনাবাহিনী এখনই ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের জড়াবে না। তবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে মারণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময়। যদি যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হয়, আর বেসামরিক লোকজনের হতাহতের পরিমাণ বাড়ে, তবে হস্তক্ষেপ করতে পশ্চিমাদের ওপর চাপ দ্রুত বাড়বে।

 

ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট: রুশ হামলার পর কিয়েভে তুমুল লড়াই চলছে

 

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসাথে দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলির চারপাশে যুদ্ধ চলছে।

 

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকোর জানিয়েছেন রাশিয়ার হামলার কারণে তিন শিশুসহ মোট ১৯৮ জন ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১১১৫ জন, যাদের মধ্যে ৩৩ জন শিশু।

 

রয়টার্সের খবরে জানা গেছে যে আজ স্থানীয় সময় সকালে কিয়েভের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

 

কিয়েভের নগর কর্তৃপক্ষের মতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র সেখানকার একটি আবাসিক ভবনে আছড়ে পড়েছে। আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানীর ঝুলিয়ানি বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরিত হয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে রয়টার্স।

 

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স ও স্পুটনিক জানিয়েছে, রুশ সেনারা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝিঝিয়ায় মেলিটোপল শহর দখল করেছে। মেলিটোপল হল ইউক্রেনের মূল বন্দর মারিউপোলের কাছে একটি মাঝারি আকারের শহর। যেখানে অন্তত দেড় লাখ মানুষ বাস করেন

 

ইউক্রেন সেনাবাহিনীর একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, তাদের সেনারা রুশ হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। কিয়েভের একটি সেনা ইউনিট শহরের প্রধান সিটি এভিনিউ থেকে রাশিয়ান বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

 

শনিবার ওই ফেসবুক পোস্টে তারা জানায়, কিয়েভের একটি সেনা ঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *