নামাজ

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম  বিসমিল্লাহির রহমানুর রহিম । সম্মানিত ভিজিটর আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । তো আজকে আমি শবে বরাত নিয়ে কিছু আলোচনা করব।  শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় শবে বরাত নামাজের নিয়ত শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ নিচে দেখি ।

আর কয়েকদিন পর মুসলিম উম্মাহর পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। সারা বিশ্বের মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে এই রাতে অনেক বান্দা মহান আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করবেন। এ কারণে এই রজনীকে আরবীতে “লাইলাতুল বারাআত” বা “মুক্তির রজনী” বলা হয়।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) রজনী সম্পর্কে বলেছেন, যারা এ রাতে ইবাদত করে তাদের গুনাহ মহান আল্লাহ মাফ করে দেন। কিন্তু আল্লাহ শুধু মুশরিক, সুদখোর, সুদখোর, যাদুকর, কৃপণ, মদ্যপায়ী, ব্যভিচারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয় তাকে ক্ষমা করবেন না।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

আরো দেখুন ক্লিক করুন

 

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতের নামাজ ও নিয়ম

প্রকৃত অর্থে শবে বরাত বলে কিছু নেই, কারণ এই রাত ইবাদতে কাটাতে হবে, এই সমাধান হাদিসেই দেওয়া আছে। আর এই বিশেষ ইবাদত পালন করে মুসলিম বিশ্ব।

সন্ধ্যা- এ রাতে মাগরিবের নামাজের পর জীবনের বরকত, ঈমান রক্ষার জন্য এবং অন্যের সামনে না দাঁড়ানোর জন্য দুই রাকাতে ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। এই 6 রাকাত নফল নামাজের নিয়ম – প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে যে কোন সূরা অনুসরণ করে। দুই রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াশিন বা সূরা এখলাছ ২১ বার পড়তে হবে।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতের নফল নামাজ

দুই রাকাত তাহিয়্যাত আল-আজুর নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে আল হামদুলিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) পড়ার পর ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার কুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ)। নেকী: প্রতি ফোঁটার পানির জন্য সাতশত নেকী লেখা হবে।

দুই রাকাত নফল নামায, নিয়ম – ১ম নামাজের মতো, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর আয়াতুল কুরসি ১ বার ও সূরা এখলাস ১৫ বার, তারপর সালাম ফিরানোর পর দুরূদ শরীফ ১২ বার। পুণ্য: জীবিকার আশীর্বাদ, দুঃখকষ্ট থেকে মুক্তি, পাপের ক্ষমা।

নফল নামাজের আট রাকাত দুই রাকাতে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাছ ৫ বার। বাকি সবকিছু একই নিয়ম অনুসরণ করে। ফজিলত: আপনি পাপ থেকে মুক্ত হবেন, আপনার প্রার্থনা কবুল হবে এবং আপনি আরও নেক আমল লাভ করবেন।

12 রাকাত নফল নামাজ দুই রাকাত সহ, প্রবি- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর 10 বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে 10 বার কলেমা তাওহীদ, 10 বার কলেমা তমজিদ এবং 10 বার দুরূদ শরীফ এই নিয়মে শেষ করুন।

দুই রাকাতে ১৪ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যে কোনো সূরা পাঠ করুন। ফজিলতঃ যেকোন দুআ কবুল হবে।

এক সালামে চার রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। পুণ্য: সে পাপ থেকে এমনভাবে শুদ্ধ হবে যেন সে সবেমাত্র তার মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে।

এক সালামে আট রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাছ শরীফ ১১ বার। ফজিলত: তার ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, হজরত সাইয়্যিদাতুনা ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, “আমি নামাজ আদায়কারীর জন্য সুপারিশ করা ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করব না।

রোজা রাখার ফজিলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি শাবান মাসে ১ দিন রোজা রাখবে, আমি আমার কাছে সুপারিশ করব। আরেকটি হাদিস শরিফে আছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শা’বানের ১৫ তারিখ রোজা রাখবে সে জাহান্নামের আগুনে আক্রান্ত হবে না। সালাতুল তাসবীহ নামাযও পড়তে পারেন। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই দোয়াটি শিখিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে আপনি যদি এই দোয়াটি পাঠ করেন তবে আউয়াল আখিরার মহান কবিদের জানা-অজানা সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন।

আরে চাচা জানো! পারলে দিনে একবার এই দোয়াটি পড়ুন। প্রতিদিন না হলে সপ্তাহে একবার পড়ুন। সপ্তাহে না হলে মাসে একবার পড়ুন। মাসে একবার না হলে বছরে একবার পড়ুন। যদি না পারেন, তাহলে জীবনে অন্তত একবার এই প্রার্থনা করুন (তবে এড়িয়ে যাবেন না)।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

রোজা রাখার নিয়ত
রোজা রাখার নিয়ত

লাইলাতুল বরাতের নামাযের নিয়ত

এই পবিত্র রজনীতে নামাজ আদায় করতে হলে শুরুতেই লাইলাতুল বরাতের নামাজের নিয়ত করতে হবে। নিয়ত করার পরই নামাজ পড়া যাবে। যেহেতু লাইলাতুল বরাতের ইবাদত নফল ইবাদত তাই আপনাকে অবশ্যই নফল নামাজ পড়তে হবে। বাংলা ও আরবি ভাষায় শবা বরাত বা লাইলাতুল বরাতের নামাজের নিয়ত করতে পারেন।

আরবী জানা থাকলে আরবী ভাষায় লাইলাতুল বরাতের নামাজ পড়তে পারেন। আর আরবি না জানলে বাংলায় নামাজ পড়তে পারেন। নিচের অংশ থেকে আপনি বাংলা ও আরবি ভাষায় নফালা নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আরবি নিয়্যতঃ নাওয়াযতুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লা-হি তা-লা- রাকাতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কাবাতিশ শরীফাতি আল্লাহ-হু আকবার।

বাংলা অর্থ: “শবা বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ আমি কিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ি, আল্লাহু আকবার”।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *